দিল্লীর অপরাধ দমন শাখার এসআইটি অসমকে ভারত থেকে আলাদা করে দেওয়া শারজিল ইমামের দেশবিরোধী ভাষণ নিয়ে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) যোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। এসআইটি শারজিলের মোবাইলের কল ডিটেলস খুঁজে দেখছে। আরেকদিকে, দিল্লী পুলিশের স্পেশ্যাল সেল এটা তদন্ত করছে যে, তাঁর মাথায় এত ভারত বিরোধী বিষ এলো কথা থেকে? সে কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত না তো? স্পেশ্যাল সেলের ডিসিপি প্রমোদ কুশবাহ চাণক্যপুরীর অপরাধ দমন শাখায় শারজিলকে অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। অপরাধ দমন শাখার টিম বিহারের জাহানাবাদ এলাকা থেকে শারজিলকে বিমানে করে বুধবার দুপুরে দিল্লী এনেছিল। চাণক্যপুরীর অপরাধ দমন কার্যালয়ে অনেক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাদ করার পর তাঁকে বিকেল চারটে নাগাদ আদালতে পেশ করা হয়ে। অপরাধ দমন শাখার এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান, শারজিলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জামিয়া নগর আর উত্তরপ্রদেশের আলীগড়ে দেশবিরোধী মন্তব্য করার কথা স্বীকার করে।
দিল্লী পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা শারজিলকে জিজ্ঞাসা করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেই ভারত বিরোধী ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেটার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে সেটা তাঁর কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে শারজিল ইমাম বলে, হ্যাঁ ওই ভিডিও আমারই! আর ওই ভিডিওতে কোন কিছু এডিট করা হয়নি। কিন্তু এটা আমার সম্পূর্ণ ভিডিওটা না। শারজিল বলে, আমি প্রায় এক ঘণ্টা ভাষণ দিয়েছি। শারজিলের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চ আর স্পেশ্যাল সেলের অফিসারেরা এটা বুঝে নেয় যে, রণনীতি ঠিক করেই শারজিল এই ভাষণ দিয়েছিল। স্পেশ্যাল সেল অনুযায়ী, শারজিলের এই ভাষণ নিয়ে তাঁর মনে কোন অনুতাপ নেই। আর সে নিজের বিরোধ জারি রাখতে চায়। পাশাপাশি শারজিল ইমামের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে এও জানা যায় যে, শারজিল ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। আপনাদের জানিয়ে রকাহি, শারজিলের ফোন বাজেয়াপ্ত করার জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চের টিম শারজিলকে নিয়ে বিহারে যেতে পারে।
Facebook Comments