“কফোঁটা চোখের জল ফেলেছো
যে তুমি
ভালোবাসবে?”
যৌবনে প্রেমে পড়ে বিরহের গান শোনেনি বা নিজে গুনগুন করেনি এমন বাঙালী ছেলে মেয়ে নেই বললে চলে। আর সেই বিরহের গান মানেই মান্না দের গান।
শুধু কি বিরহ, আড্ডাবাজদের কাছে কফি হাউজ গান, আর ভোজনরসিকের কাছে ” ভজহরি মান্না “।
কোন একদিন গায়ক যখন পাচক সেজে রান্নায় ব্যস্ত বন্ধুবর পুলক বন্দোপাধ্যায়ের জন্য। এ দৃশ্য দেখতে দেখতে পুলক বাবু লিখে ফেললেন এক কবিতা। সুরের ছোঁয়া তে সৃষ্টি হল ভজহরি মান্না গানটি।
কিংবদন্তী মান্না দে নিজে যেমন খেতে ভালবাসতেন। নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াতেও। তার সহধর্মিণী ছিলেন রন্ধন পটিয়শী।চীন, মোগলাই, কন্টিনেন্টাল, ভারতীয় ও বিশুদ্ধ বাঙালী পদ করতেন আর গায়ক তা তৃপ্তি সহকারে খেতেন। কাজের অবসরে ঢুকে পড়তেন ও রান্না ঘরে।মুম্বাই, আর কলকাতার বহু রেস্টুরেন্টে স্বাদ আস্বাদন করেছেন বহুবার। চাঁদনি মেট্রো র কাছে সাউথ ইন্ডিয়ান ফুড,গিরিশ পার্কের কাছে নিরান্জন আগারের ডিমের ডভিল, মাটন কোপ্তা তার খুব প্রিয়। আর ভজহরি মান্নার ইলিশ,চিংড়ী, পাবদার প্রতি তার দুর্বলতা ছিল বরাবরই।
কিংবদন্তী শিল্পীর শারীরিক বিদায় হয়েছে ছয় বছর। কিন্তু মনে হয় কখনও হয়তো ভজহরি মান্নাতে শিল্পীর সাথে দেখা হবে কোন রসনার আস্বাদনে……
সরষে পাবদা পাতুরি
উপকরণ :
পাবদামাছ : ৬/৭ টা
সাদা ও কালো সরষে বাটা : ১/২ চা চামচ
পেয়াজ কুচি: ২ টেবিল চামচ
পেয়াজ বাটা: ১ চা চামচ
রসুন বাটা : ১ চা চামচ
টমেটো বাটা : ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুড়ো : ১/২ চা চামচ
লঙ্কা গুড়ো : ১ চা চামচ
জিরে গুড়ো : ১/২ চা চামচ
ধনে গুড়ো : ১/২ চা চামচ
গোলমরিচ গুড়ো : ১/২ চা চামচ
নুন ও চিনি: স্বাদমত
কাচালঙ্কা : ৪/৫ টা
সরষের তেল:৫ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি:১ চা চামচ
গোটা জিরে,সরষে, শুকনোলঙ্কা, তেজপাতা ফোড়নের জন্য
প্রণালী : কড়াইয়ে তেল গরম করে নুন হলুদ মাখে মাছ ভেজে নিতে হবে। ওই তেলে ফোড়ন দিয়ে পেয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে পেয়াজ বাটা,রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষব। রসুনের কাচা গন্ধটা গেলে সব বাটা মশলা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষে মাছ, নুন,চিনি, সরষে বাটা কাচালঙ্কা দিয়ে জল দেব। ঝোল শুকিয়ে এলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করব।
ছবি সংগৃহীত
Facebook Comments