এবার যৌন নিপীড়নের শিকার হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডে। সম্প্রতি তিনি মার্কিন প্রখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ গায়িকা ও গীতিকার অ্যারেথা ফ্রাঙ্কলিনের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আর এসময় আচমকাই শোকসভা পরিচালনাকারী ধর্মযাজক চার্লস এইচ এলিস প্রকাশ্যেই গ্রান্ডের বুকে হাত দেন।
বিষয়টা নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে, পুরো বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ধর্মযাজক চার্লস এইচ এলিস। তিনি দাবি করেন তার উদ্দেশ্য কখনই কোনো নারীর বুক স্পর্শ করা ছিল না।তিনি বলেন, ‘কোনো নারীর বুক স্পর্শ করাটা কখনই আমার উদ্দেশ্য ছিল না। হয়তো আমি সীমা লঙ্ঘন করেছি। আমি হয়তো একটু বেশিই বন্ধুভাবাপন্ন ছিলাম। কিন্তু ফের বলছি, আমি ক্ষমা চাই।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, অনুষ্ঠানের ছবিতে দেখা যায় গ্রান্ডের পাশে দাঁড়িয়ে তার কোমরের ওপরে হাত রাখেন চার্লস এলিস। এ সময় তার আঙ্গুল ছিল গ্রান্ডের বুকের একপাশে।এই ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রান্ডের সমালোচনা করে বলছিলেন, তার পোশাক ওই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য যথাযথ ছিল না। একটু ছোটই ছিল। এই বিষয়টি তুলে ধরে অনেকে বলেন, যিনি নির্যাতনের শিকার হলেন তাকেই সমালোচনা করা হচ্ছে। তার পোশাককে সমালোচনা করা হচ্ছে। অথচ সরাসরি টিভিতে যেই লোকটি এ ধরণের কাজ করলো তাকে নিয়ে তেমন কিছু বলা হচ্ছে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রান্ডের শরীরে যেভাবে স্পর্শ করছিলেন ওই যাজক তা স্পষ্টতই যথাযথ ছিল না। এ অবস্থায় গ্রান্ডে তখন ভীষণ অস্বস্তি বোধ করছিলেন।নেটিজেনদের অধিকাংসের মতামত যেই লোক সরাসরি সম্প্রচারকৃত টিভি অনুষ্ঠানে এ ধরণের কাজ করতে পারেন, তিনি দরজার ভেতর কী করতে পারেন ভেবে গা শিহরিয়ে উঠছে।
তবে ঘটনার ফুটেজ যতই ছড়িয়েছে, ততই ‘রেসপেক্ট অ্যারিয়ানা’ নামে হ্যাশট্যাগ টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে নারীর স্বাধীনতা নিয়ে এই ২৫ বছর বয়সী গায়িকার পুরোনো একটি টুইটও।
Facebook Comments