বেড়াতে যেতে তো আমরা সবাই ভালবাসি। যদিও আমাদের মানে মধ্যবিত্ত বাঙালিদের বেড়ানো মানে, ওই দী-পু-দা। মানে দীঘা, পুরি, দার্জিলিং। বিদেশ বলতে বড়জোর থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, যদি চারিদিকে সমুদ্র ঘেরা এক ছোটো দ্বীপ। সেখানে শুধুই আপনি এবং আপনার স্বপ্নের মানুষ। জানি, আমাদের এই মধ্যবিত্ত বাঙালিদের কাছে এ চাঁদে যাওয়ার সমান। বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখি, হলিউডের নায়ক নায়িকারা নিজেদের ব্যাক্তিগত দ্বীপে ছুটি কাটাতে যান। সে তারা মিলিনেয়র, তারা যেতেই পারেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই বিশ্বে এমন কিছু দ্বীপ আছে যেখান আপনি কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও যেতে পারবেন না। মানুষের প্রবেশ সেখানে সম্পুর্ন নিষিদ্ধ।
সেরকমই এক দ্বীপ হল ‘স্নেক আইল্যান্ড ‘। ব্রাজিলের সাও পাওলো সমুদ্র সিমানা থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ। ৪ লক্ষ ৩০ হাজারের বর্গমিটারের এই দ্বীপে গোল্ডেন পিট ভাইপার নামে এক বিষধর প্রজাতির সাপ থাকে। এই দ্বীপের প্রতি ১ বর্গমিটার এলাকায় ৩ থেকে ৪টি সাপ দেখা যায়। ব্রাজিলে প্রতিবছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার ৯০ শতাংশ মানুষ মারা যায় এই গোল্ডেন পিট ভাইপার-কামড়ে। ব্রাজিল নেভি এই দ্বীপে মানুষ যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। শোনা যায় এই দ্বীপে প্রথম থেকেই এই সমস্যা ছিলনা। আগে ওই দ্বীপের শুধুমাত্র উত্তর ভাগে সাপেদের বিচরণ ছিল। কিন্ত সময়ের গ্রাসে পুরো দ্বীপটাই সাপেদের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বর্তমানে। এও শোনা যায়, আগে ওই দ্বীপে একটি লাইট হাউস ছিল। এক কর্মি ওই লাইট হাউসের কটেজে তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকতো। ব্রাজিল নেভির এক জাহাজ তাদেরকে বেঁচে থাকার রসদ দিয়ে আসতো। সেরকমই একদিন খাবার দিতে গিয়ে ব্রাজিল নেভি, ওই কর্মি ও তার স্ত্রী-সন্তানদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। সেই থেকেই মানুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ এই দ্বীপে।
Photo courtesy – moco-choco
Facebook Comments