গলসি ১ ও ২ নং ব্লকের কোন স্কুল খোলা না থাকলেও গলসি উচ্চ বিদ্যালয় খোলা। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবসে অন্য স্কুল বন্ধ থাকলেও গলসি উচ্চ বিদ্যালয় অন্যান্য দিনের মতোই খোলা থাকে বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক সুখেন সাহা। তিনি জানান রবীন্দ্রজয়ন্তী,নজরুল জয়ন্তী ও অন্যান্য মহাপুরুষেরর জীবনীতেও স্কুল খোলে রাখেন। কারণ এই দিনগুলি পড়ুয়াদের শিক্ষা না দিলে তারা কি শিখবে! অভিভাবক মুন্সী সফিউর রহমান বলেন, ছুটির দিনে পড়ুয়ারা বেশীর ভাগ মোবাইল নিয়েই পড়ে থাকে, এই সুযোগ যাতে পড়ুয়ারা না পাই, তারজন্য এটা ভাল উদ্যোগ বলে প্রধান শিক্ষকের প্রশংসা করেন। স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান শিক্ষক সুখেন সাহা। তাছাড়া পড়ুয়ারা এদিন স্বামী বিবেকানন্দকে সঙ্গীতের মধ্যে অনুসরন করেন। প্রথমে বিদ্যালয়ে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করেন পূর্ব বর্ধমানের সভাধিপতি দেবু টুডু,বিধায়ক অলোক মাঝি,প্রধান শিক্ষক সুখেন সাহা,গলসি পঞ্চায়েত সভাপতি রুবিমণি কিস্কু প্রমুখ। এদিন বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ জন দূঃস্থ ব্যাক্তিদের কম্বল প্রদান করা হয়। প্রধান শিক্ষক জানান,দূঃস্থদের সাহায্য করার জন্য একটা ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। তাই দূঃস্থদের ভাবনা আজ থেকেই শুরু হলো। পরবর্তী পর্যায়ে দূঃস্থদের আরও সাহায্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে এলাকার মধ্যে গলসি উচ্চ বিদ্যালয় খোলা ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান করাই অভিভাবকরা খুশী।
গলসি ২ নং ব্লকের উদ্যোগে ও ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগীতায় ছাত্র যুব উৎসব হলো গলসিতে। প্রথমে গলসি বাজারে র্যালি করেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাধিপতি দেবু টুডু,বিধায়ক অলোক মাঝি,বিডিও ২ শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুবিমণি কিস্কু প্রমুখ। বিডিও জানান ছাত্র-যুবদের সংস্কৃতির প্রতিভা চিহ্নিত ও বিকশিত করার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান। তিনি জানান,কবিতা পাঠ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,প্রশ্নো-উত্তর,সংবাদপত্র পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান চলবে ১৪ই জানুয়ারি পর্যন্ত।
Photography – Sudeep Pal
Facebook Comments