“গত বছর আমাকে ইস্টবেঙ্গল জীবনকৃতি সন্মান প্রদান করেছিল। সেদিন নেতাজি ইন্ডোরে আমার জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছিল। এই ক্লাবে কাজ করা আমার কাছে আজও স্বপ্নের মত। আমি এখান থেকেই ফুটবলার জীবন ও কোচিং কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। এবারও ডাক পেয়ে আমি সন্মানিত।
ইস্টবেঙ্গল একটা কঠিন সময়ের উপর দিয়ে চলাচল করছে। আমার জীবনে এরকম মুহূর্ত এর আগেও এসেছে। কোচ ও ফুটবলার হিসেবে বহু কঠিন পথ এর আগেও পেরিয়েছি। এগুলোই জীবনের চ্যালেঞ্জ। হঠাৎ করে আসা চ্যালেঞ্জ গুলোই আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
টিভিতে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখেছি। তবে আজ থেকে বিস্তারিত ভাবে ভাবতে শুরু করব। আমাদের সকলকেই পরিশ্রম করতে হবে। খালিদকে অনেকদিন ধরেই চিনি। ওর সঙ্গে আলচনা করেই পরবর্তী ধাপ ঠিক করব। খালিদ ইজ দ্য চিফ কোচ অ্যান্ড আই অ্যাম দ্য অ্যাসিসটেন্ট কোচ অফ দিস টিম। খালিদও আমমার মতন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসে। আমাদের দুজনেরই অনেককিছু প্রমাণ করার আছে। এছাড়া এই মরশুমে এক-দুম্যাচ ছাড়া ইস্টবেঙ্গল খারাপ ফুটবল খেলেনি। এসময়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
আমি নিজে মাঠে নেমে কোচিং করতে ভালবাসি। মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে কোচিং করানো যায়না। মনাদার সঙ্গেও ফোনে কথা বলব। মনাকে আমি ভারতীয় দলের অধিনায়ক করেছিলাম । ওকে আমি শ্রদ্ধা করি। এখন আগের ব্যর্থতার কারণ খোঁজার সময় নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দলটাকে ছন্দে ফেরাতে হবে। ”
খালিদ জামিল বলে গেলেন , ‘আমি খুব খুশি। সুভাষ ভৌমিকের মত একজন ব্যাক্তিত্বের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে। উনি ভারতের অন্যতম সেরা কোচ। ইস্টবেঙ্গলে সাফল্যই আমাদের চাহিদা। একসঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।
ছবি সৌজন্যে- নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments