🏳️‍🌈সমকামী বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট আজ (১৭ অক্টোবর) সমলিঙ্গের বিয়ের বিষয়ে রায় দিয়েছে। রায় দেওয়ার সময় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। CJI বলেছেন যে আদালত বিশ্বাস করে যে সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সংসদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে 5 বিচারপতির বেঞ্চ 11 মে এই মামলার সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করেছিল।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টে সমকামী বিয়ে নিয়ে শুনানি হয়। সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট তার রায় পড়ে শোনাল। সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন যে সমকামী দম্পতিদের জন্য বিবাহকে মৌলিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করা যায় না। তিনি বলেন, আদালত আইন প্রণয়ন করে না, বরং তা ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে পারে। বৈষম্যের অবসানের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, CJI বলেছেন যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত বৈষম্য বন্ধ করা। এটাই স্বাভাবিক। তাদের সুরক্ষা প্রদান করুন। সমকামী সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্য করা উচিত নয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আইন করা – 👨🏻‍⚖️বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট
এ বিষয়ে চারটি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট তার পৃথক সিদ্ধান্তে বলেছেন, সরকারের উচিত এই বিষয়ে একটি আইন করা, যাতে সমকামীরা সামাজিক ও আইনি স্বীকৃতি পেতে পারে। কোনো বাধা ও ভয় ছাড়াই সমকামীদের নিজেদের সম্পর্ক রাখার অধিকার থাকা উচিত। বিচারপতি ভাট, দুই সমকামীর ব্যক্তিগত সম্পর্কের সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন যে সারাজীবন একসাথে থাকতে চাওয়া দু’জনের অধিকার। এতে কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। তাদের অধিকার দেওয়ার জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করতে হবে। CJI বলেছেন যে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা সংবিধান অনুযায়ী উপযুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে আমরা মৌলিক অধিকারের বিষয়টি বিবেচনা করেছি। আমি বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা এবং ক্ষমতা পৃথকীকরণের বিষয়টি মোকাবেলা করেছি। এর মানে হল যে সংবিধানের প্রতিটি অঙ্গ একটি আলাদা কাজ করে। ঐতিহ্যগত তত্ত্ব বেশিরভাগ আধুনিক গণতন্ত্রের কার্যকারিতাকে সজীব করে না। এই নীতির সূক্ষ্ম কাজকর্ম এবং একটি প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা অন্য হাতের কার্যকারিতা নির্দেশ করে।

যে কেউ নিজেকে সমকামী বলে দাবি করতে পারে -👨🏻‍⚖️ CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড়
ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে এই বিষয়ে সাহিত্যের সীমিত অনুসন্ধান এটি স্পষ্ট করে যে সমকামিতা একটি নতুন বিষয় নয়। লোকেরা সমকামী হতে পারে, সে গ্রাম বা শহরেরই হোক না কেন, শুধুমাত্র একজন ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষই নিজেকে সমকামী বলে দাবি করতে পারে না, একজন মহিলাও গ্রামীণ এলাকায় একটি খামারে কাজ করে।

এ ছাড়া পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য করা চলবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোনো ব্যক্তিকে কোনো হরমোন থেরাপি নিতে বাধ্য করা হবে না। সমকামীদের অধিকার সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করুন। সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য একটি হটলাইন তৈরি করুন। সমকামী দম্পতিদের জন্য নিরাপদ ঘর তৈরি করুন। থানায় ফোন করে কোনো হয়রানি করা হবে না।

সূত্রঃ সন্মার্গ
ছবিঃ সংগৃহিত