সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া অবিশ্বাস্য, উজ্জ্বল অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আছে, তারা যদি একটি চুক্তি সম্পন্ন করে, কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র থাকলে তাদের অর্থনৈতিক আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’ এ সময় মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ‘খুব শক্তিশালী’ মনে হচ্ছে। তবে তা আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দুই পক্ষকেই ভীষণ সজাগ থেকে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
যদিও এর মাত্র কয়েকদিন আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বাতিল করতে সম্মত হলে উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। আমার বিশ্বাস উত্তর কোরিয়া অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে নিজেদের সেরা সিদ্ধান্তই নিবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দ্বিতীয় ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত সেই বৈঠকে কোনো ধরণের চুক্তিই সম্পন্ন হয়নি।
তবে বৈঠকে কিমের দাবি ছিল এখনই তার দেশের উপর থেকে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র চায় আরও বেশ কিছুদিন দেশটিকে নজরদারির মধ্যে রাখতে। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে পরমাণু সংক্রান্ত সব ধরনের কর্মসূচি বাতিলের নিশ্চয়তা পেতে।
এদিকে হোয়াইট হাউস জানায়, এবার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে উভয় পক্ষই ভবিষ্যতে আরও বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে।
অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম বলেছেন, ‘হ্যানয়ে আমার উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে আমি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে ইচ্ছুক। যদি আমি নিজে না চাইতাম তাহলে কখনোই এখানে আসতাম না। আলোচনা তো অনেক দূরের কথা।’
Facebook Comments