রবিবার সকালে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে কেরালায়। কোচির কালামাসেরি এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে, অনেক মানুষ আহত হয়েছে। একটি সম্মেলন কেন্দ্রে যিহোবার সাক্ষিদের প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণটি ঘটে। কালামাসেরি সিআই ভিবিন দাস বলেন, প্রথম বিস্ফোরণটি সকাল ৯টার দিকে ঘটে এবং তার পরের ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। গত ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী বৈঠক রোববার শেষ হয়। কর্মকর্তাদের মতে, বিস্ফোরণের সময় প্রার্থনা সভায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আধিকারিক ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড মোতায়েন করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে জামরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারকে কেঁপে ওঠে। বিকট শব্দের পর সেখানে পদদলিত হয়। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। আহতদের কালামাসেরি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালককে হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কালামাসেরি মেডিকেল কলেজে ছুটিতে থাকা চিকিৎসক ও নার্সদের অবিলম্বে দায়িত্বে যোগ দিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী অবিলম্বে কোট্টায়াম মেডিকেল কলেজ থেকে কালামাসেরি মেডিকেল কলেজে বার্ন টিম পাঠানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন।
কালামাসেরির জামরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে প্রায় 2,000 লোক জড়ো হয়েছিল। এখানে ‘যিহোভাস উইটনেস’ নামে তিন দিনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এটি খ্রিস্টানদের অন্যতম পবিত্র উৎসব।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কনভেনশন সেন্টারের ভেতরে আমরা সবাই নামাজে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই বিস্ফোরণ হয়। তিন-চারটি বিস্ফোরণ হয়। আমি কোনোভাবে পালাতে সক্ষম হয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছিলাম। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যারা নামাজে অংশ নিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই অঙ্গমালির বাসিন্দা। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হলের মাঝখানে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিস্ফোরণ ঘটে।
সূত্রঃ nbt
ছবিঃ সংগৃহিত
Facebook Comments