বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের 17 তম বেঞ্চের সামনে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ নিয়ে আদালত কক্ষের ভেতরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এত কিছুর সময় বিচারক আদালতে হাজির হননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি হাজির। তাদের সামনে আইনজীবীদের তর্ক করতে দেখা গেছে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় উভয় পক্ষকে শান্ত করতে ব্যর্থ হন। কিছু আইনজীবী অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড়। অপর পক্ষ এজলাস বয়কটের বিরোধিতা করে। হাইকোর্টে প্রথম পর্বেই তাকে ঘিরে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে। এদিকে প্রকাশ শ্রীবাস্তব রেজিস্ট্রার জেনারেলকে তার চেম্বারে ডেকে পাঠান। পরে তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে 17 নম্বর আদালতে যান। কিন্তু আইনজীবীদের ভিড়ের কারণে রেজিস্ট্রার আদালত কক্ষের ভেতরে যেতে পারেননি। তিনি বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন।
হট্টগোলের মধ্যে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, তাকে আদালতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন। আদালতের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন একদল আইনজীবী। হাইকোর্টের সহকারী সলিসিটর জেনারেল বিলবদল ভট্টাচার্য বলেন, আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তারা প্রশাসনের কাছে যেতে পারেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, যারা এই মামলা শুনতে চান না তাদের আদালত ছেড়ে চলে যেতে হবে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বয়কট নিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনে মতপার্থক্য রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের কিছু সদস্য মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বুধবার থেকে অধিবেশন বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ওই অংশের দাবী, মঙ্গলবারের সাধারণ সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা। প্রধান বিচারপতির কাছে পাল্টা চিঠিতে সংগঠনের সভাপতি অরুণাভ ঘোষ বলেন, গোলমালের কারণে মঙ্গলবার সাধারণ সভা করার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না। তিনি সভা বাতিলের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবারের বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দাবী করেন তিনি।
Facebook Comments