অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে ভাইপো বলে কটাক্ষ করেছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। এর পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সাহস থাকেল ভাইপো না বলে নাম করুন। দেখব আপনার হিম্মত। একজন ভালো ছেলে রাজনীতি করছে। তাঁর চরিত্রহনন আপনারা কেন করছেন?’ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় ও অমিত শাহর ছেলে জয় শাহকেও আক্রমণ করেন কুনাল ঘোষ।
ষষ্ঠদিনের সাংবাদিক সম্মেলনের শুরু থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে আক্রমণ করে গিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেন, ‘২০১৫-য় বলেছিল ভাগ মুকুল ভাগ। তাঁকেই তো আবার দলে নিয়েছে বিজেপি।’ পাশাপাশি ‘ভাইপো’ ইস্যুতে তাঁর প্রশ্ন, ‘শুভ্রাংশু রায় কোথা থেকে এল?’ তাঁর মতে, ‘‘কৈলাশ বিজয়বর্গীয় রামনগরে মিথ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তৃণমূলর যুবনেতাকে নিশানা করে মিথ্যাচার করেছেন। রাজনীতিতে পাল্লা দিতে না পারায় চরিত্রহনন করছেন। বিজেপি ভয় পাচ্ছে বলেই যুবনেতাকে আক্রমণ করছে।’’ এদিন তাঁর নিশানায় ছিলেন কৈলাশ-পুত্র আকাশ বিজয়বর্গীয় ও অমিত শাহের ছেলে জয় শাহও। বলেন, ‘‘আপনার ছেলে তো গুন্ডা। পুরকর্মীদের ব্যাট দিয়ে মেরেছিলেন। গ্রেফতার হয়েছিলেন। অমিত শাহের ছেলে জয় শাহও বিসিসিআইয়ের পদ দখল করে বসে আছেন।’’ এখানেই তাঁর প্রশ্ন ‘রাজনীতিবিদের পরিবারে রাজনীতিবিদ হতে পারেন না?’
এদিন কুণালের তোপ থেকে বাদ পড়েননি মুকুল রায়ও। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যে সিন্ডিকেটের কথা বলেছিলেন, তিনিই আজ বিজেপিতে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তদন্ত করুন। মুকুলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ করেছিলাম। এখনও সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করেনি। মির্জার বয়ান অনুযায়ী মুকুল রায়কেও গ্রেফতার করা উচিত। কিন্তু তা হয়নি।’’ প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ‘‘কে দিদি, কে ভাইপো, সকলেই জানে। এনিয়ে আলাদা করে বলার নেই। আর নাম যখন বলার সময় আসবে, তখন ঠিক বলে দেওয়া হবে। বিজেপি কাউকে ভয় পায় না। ভয় পেলে আর ১৮ টি আসন পেত না।’’
Facebook Comments