সাইক্লিং তাঁর স্বপ্ন। নিজের প্রিয় সাইকেলটি নিয়ে হিমালয়ের পথে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন ‘ট্রান্স হিমালয়ান’ বুনতে শুরু করেছিলেন দু’বছর আগে থেকে। এখন সেই স্বপ্নের অনেকটাই অতিক্রম করে ফেলেছেন তিনি। তিনি বাংলার জ্যোতিষ্ক বিশ্বাস। নদীয়ার করিমপুরের তরুণের জ্যোতিষ্ক চেয়েছিলেন নিজের সাইকেলকে সঙ্গী করে হিমালয়ের গহীন পথে পাড়ি দিতে। সেইসঙ্গে দীর্ঘ ৭হাজার কিলোমিটার যাত্রাপথে প্লাস্টিকের দূষণ সম্পর্কে পথচলতি মানুষকে অবহিত করাও তাঁর মিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ‘জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন’এর ছাত্র কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করেন গত ২০মে। কলকাতা থেকে রওনা হয়ে বারাণসী, লক্ষ্ণৌ, আগ্রা, মথুরা, দিল্লি, সোনিপাত, জলন্ধর, জম্মু, লে হয়ে পৌঁছে গেছেন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮,৩৮০ফুট উচ্চতায় অবস্থিত খারদুংলায়।
পৃথিবীর উচ্চতম গাড়ি চলাচলের জায়গা ভারতের লাদাখ অঞ্চলে অবস্থিত দুর্গম খারদুংলা পাস্। বহু পর্যটক বেড়ানোর নেশায় গাড়ি নিয়ে সেখানে যান। কিন্তু সাইকেলে চড়ে সেখানে পৌঁছানোর মতো ঘটনা হাতে গোনা। ইতিমধ্যেই জোজিলা, খারদুংলা, টানলাংলা, রোহটাং পাস-সহ এখনও পর্যন্ত মোট ৯টা পাস অতিক্রম করেছেন তিনি। সেখানেই থেমে থাকেননি এই তরুণ। পৌঁছে গেছেন হিমালয়ের আরও গহীনে, থাং গ্রামে। ভারতের সব থেকে উত্তরপ্রান্তের গ্রাম এটি। এই গ্রাম থেকে কিছুটা এগোলেই নিয়ন্ত্রণরেখা এবং তার ওপারেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গ্রাম স্রাওনো। থাং গ্রামে পর্যটকরা পৌঁছে গেলেও কোনও ভারতীয় সাইকেল অভিযাত্রী এর আগে সেখানে যাননি, এমনটাই দাবি করেছেন জ্যোতিষ্ক। তাঁর আশা, তাঁর এই কৃতিত্ব যদি রেকর্ড বইয়ে ঠাঁই পায়।
এখন জ্যোতিষ্ক রয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মানালিতে। এবার তাঁর যাত্রা হবে পূর্বমুখী। উত্তরাখণ্ড হয়ে ঢুকে পড়বেন নেপাল, তারপর সিকিম হয়ে পৌঁছে যাবেন অরুণাচলের পূর্বাংশের গ্রাম রোয়িং। তাঁর আশা, এই অভিযান সম্পূর্ণ করতে আরও ৭০-৮০দিন সময় লাগবে।
ছবি সৌজন্যেঃ জ্যোতিষ্ক বিশ্বাসের ফেসবুক
Facebook Comments