মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যে ফের আরেক দফা শুল্ক আরোপ করেছে। আরও ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চীনা পণ্যে নতুন করে ১০% শুল্ক আরোপ করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ার পরেই এমন সিদ্ধান্ত আসলো।
আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকৃত সব চীনা পণ্যে এই শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে পোশাক পর্যন্ত বিস্তৃত সব পণ্যের ওপর শুল্কটি আরোপ করা হবে।
টুইটারে নতুন এই শুল্ক পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এই ঘোষণায় তিনি চলতি সপ্তাহে সাংহাইয়ে আলোচিত আরও মার্কিন কৃষি পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতিকে সম্মান না দেয়ার জন্য চীনের সমালোচনা করেছিলেন। সিন্থেটিক ওপিওয়েড ফেন্টানেল বিক্রিতে আরও কিছু করতে ব্যর্থ হওয়ায় জন্য তিনি চীনা রাষ্ট্রপতি শি জি পিং-কেও আক্রমণ করেছিলেন।
পরবর্তী মন্তব্যে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন যে, ১০ শতাংশ শুল্ক একটি স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থা এবং এই শুল্ক পর্যায়ক্রমে ২৫ শতাংশের উপরে উঠানো যেতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের সাথে এই কাজটি কারও অনেক আগেই করা উচিত ছিল।’
ওয়াশিংটন এবং বেইজিং এই সপ্তাহের বাণিজ্য আলোচনাকে গঠনমূলক হিসেবে বর্ণনা করে এবং সেপ্টেম্বরের জন্য আরও এক দফায় আলোচনার তফসিল ঘোষণা করার পরে এমন পদক্ষেপ আর্থিক বাজারগুলোকে ধাক্কা দেবে।
ওয়াল স্ট্রিটে, ডাউন জোন্স শেয়ার সূচকে ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং এশিয়ার বাজারগুলোতে প্রথম দিকে লেনদেনের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা এড়িয়ে গেছে। তেলের দাম কমেছে।
৩০ লাখেরও বেশি আমেরিকান সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করা মার্কিন চেম্বার অফ কমার্স বলেছে যে, চীনের ওপর সর্বশেষ শুল্ক ‘আমেরিকান ব্যবসা, কৃষক, শ্রমিক এবং ভোক্তাদের ওপরই কেবলমাত্র সঙ্কট সৃষ্টি করবে না বরং আরও একবার মার্কিন অর্থনীতিকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে’। উভয় পক্ষকে সমস্ত শুল্ক অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুল্কারোপের সর্বশেষ দফায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, ট্রাম্পের কৌশল চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পাল্টা ফলপ্রসূ হিসেবে প্রমাণিত করেছে এবং বেশি ক্ষতি করছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ট্রাম্পের প্রাক্তন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কোহন বিবিসির একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে, শুল্ক যুদ্ধের ফলে মার্কিন উত্পাদন এবং মূলধন বিনিয়োগের ওপর ‘নাটকীয় প্রভাব’ পড়েছে।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments