বাহুবলী ওয়েবসিরিজ নিয়ে দর্শকের মনে উত্তেজনার কোনও শেষ নেই। কয়েকমাস আগে এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল যখন এই ছবির পরিচালক কাজ ছেড়ে দেন। যদিও আজ পর্যন্ত এটা স্পষ্ট হয়নি, তিনি নিজে কাজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, নাকি তাঁকে প্রজেক্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে জানা গিয়েছে সেই পরিচালক বিশ্বেস কৃষ্ণমূর্থী। এই পর্যন্ত পড়ে মনে হচ্ছে, ধুস আসল খবরটা কই! বেশ তবে আপনার মতে যেটি আসল খবর তাতে আসা যাক। প্রথমদিকে বেশ খানিকবার হোঁচট খাওয়ার পর অবশেষে ট্র্যাকে ফিরেছে বাহুবলী বিফোর দ্য বিগিনিং ওয়েব সিরিজের কাজ। ETimes জানতে পেরেছে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন হয়েছে সিরিজটিতে। এবং এই ওয়েব সিরিজ পরিচালনার দায়িত্ব কোনও একজনের হাতে যাচ্ছে না।
কুনাল দেশমুখ এবং ঋভু দাশগুপ্ত-র কাঁধে দেওয়া হয়েছে এই ওয়েবসিরিজ পরিচালনার দায়িত্ব। যাঁদের ঠিক মনে পড়ছে না, কুনাল দেশমুখের পরিচয়, তাঁদের মনে করিয়ে দিই, ‘জন্নত’, ‘জন্নত 2’, ”-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। অন্যদিকে রিভু দাশগুপ্ত সদ্য শেষ করেছেন পরিণীতি চোপড়া অভিনীত ছবি দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন-এর কাজ।
বেশ কিছুদিন আগেই আনন্দ নীলকান্তন একটি উপন্যাস লিখে ফেলেছিলেন সেটির নাম ‘রাইজ অফ শিবগামী’। অর্থাত্, শিবগামীর রানি হয়ে ওঠার গল্প। এই গল্প নির্ভর করেই পরিচালক এসএস রাজামৌলি এবার নেটফ্লিক্স-এর জন্য তৈরি করছেন একটি সিরিজ যার নাম ‘বাহুবলী: বিফোর দ্য বিগিনিং’। কাহিনিকার আনন্দ নীলকান্তন জানিয়েছেন তাঁর কাহিনি ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’-এর ৩০ বছর আগেকার ঘটনা। এ কারণেই এই কাহিনিতে বাহুবলী চরিত্রটির কোনও অস্তিত্ব নেই। এই কাহিনিতে অস্তিত্ব আছে শুধুমাত্র শিবগামী এবং কাটাপ্পার। এই সিরিজের কাহিনি যখন শুরু হচ্ছে তখন কাটাপ্পার বয়স মাত্র ২০।
লেখকের মতে গোটা কাহিনিটাই শিবগামীর পার্সপেক্টিভ থেকে দেখা। এই দৃষ্টিকোণ কাহিনির জন্যই জরুরি। কেন কাটাপ্পা পরবর্তী সময়ে বাহুবলীকে হত্যা করে তার একটা উত্তর ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’-এ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু যা পাওয়া যায়নি, সেটা হল এই বাহুবলী হত্যাকান্ডের পিছনে ঠিক কী ধরনের সাইকোলজি কাজ করেছিল রানি শিবগামীর মনের মধ্যে।
যেহেতু ৩০ বছর পিছিয়ে আসছে গল্প, তাই পুরনো কোনও চরিত্রই দেখা যাবে না। শুধু শিবগামী এবং কাটাপ্পা থাকবে, আর থাকবে সমস্ত নতুন চরিত্র। মূলত ছোট পর্দার জন্য তৈরি হচ্ছে বলেই যে এই সিরিজের স্পেক্টাকল হবে নীচু স্কেলে তা কিন্তু নয়। এই কারণেই এই সিরিজ নির্মাণের জন্য এসএস রাজামৌলি এবং নেটফ্লিক্স সংস্থা যে দলটি তৈরি করেছেন, তাঁরাই অতীতে ওই গ্র্যাঞ্জার তৈরি করেছিলেন বড় পর্দার জন্য। এর মধ্যে রয়েছে অর্ক মিডিয়া ওয়ার্কস এবং সহপরিচালক দেবা কাট্টা এবং প্রবীণ সাতারু।
অনেকেই আশা করছেন ‘বাহুবলী: বিফোর দ্য বিগিনিং’ জনপ্রিয়তায় ‘সেক্রেড গেমস’-কেও পিছনে ফেলে দেবে। ইতিমধ্যেই এই সিরিজ দুটি সিজনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
Facebook Comments