চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুর মুসলিমদের ওপর দীর্ঘদিন যাবত নিপীড়ন চালাচ্ছে বেইজিং। মূলত এমন প্রেক্ষাপটে দেশটির মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের এক নথিতে বলা হয়, এর ফলে এখন থেকে চীনের সেই প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়াশিংটনের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের মার্কিন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। তালিকাভুক্ত চীনা ২৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কিছু সরকারি ও প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ আছে, সেসব কোম্পানি উইঘুর মুসলিমদের ওপর নজরদারিতে বেইজিং প্রশাসনকে সহায়তা করেছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনে হান চাইনিজরা হচ্ছে সংখ্যাগুরু। তাদের তুলনায় মুসলিম উইঘুরদের সংখ্যা অতি নগণ্য। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। যে কারণে বিদেশি মিডিয়ার ওপর অঞ্চলটিতে প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। যদিও গত বেশ কিছু বছর যাবত বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসছে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপক হারে আটক করা হচ্ছে। এমনকি গোষ্ঠীটির নারীদেরও একের পর এক আটকের পর বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে।
গণমাধ্যমের দাবি, মার্কিন প্রশাসন কর্তৃক চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্তির ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে চীনের বৃহত্তম টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান ‘হুয়াওয়ে’কে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, দীর্ঘদিন যাবত উইঘুর মুসলিমদের বন্দিশিবিরে আটকে রেখে বর্বর নির্যাতন চালিয়ে আসছে চীন। যদিও বেইজিংয়ের দাবি, এগুলো তাদের চরমপন্থার বিরুদ্ধে উন্মুক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
Facebook Comments