🇮🇱তেল আবিব পৌঁছেছেন 🇺🇸প্রেসিডেন্ট বাইডেন, নেতানিয়াহুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাসের লোকেরা গণহত্যা করেছে। হামাস পুরো ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিডেন বলেছেন, গাজার হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তিনি ব্যথিত। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি এই লড়াই ইসরায়েলের জন্য সহজ নয়।’ তিনি প্রকাশ্যে ইসরাইলকে সমর্থন করেছিলেন। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমেরিকা সহযোগিতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

WATCH LIVE: Prime Minister Benjamin Netanyahu and President Isaac Herzog welcome President of the United States Joe Biden upon his arrival to Israel. https://t.co/S5x2JFtwOr

— Prime Minister of Israel (@IsraeliPM) October 18, 2023

এটি মানব সভ্যতা এবং সন্ত্রাসবাদের মধ্যে লড়াই। এর আগে, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব পৌঁছেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিডেনের সফরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে গাজার হাসপাতালে হামলায় ৫০০ জনের মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছিলেন বাইডেন।

#WATCH | Israel | In Tel Aviv, Israel PM Benjamin Netanyahu says, "For the people of Israel, there is only one thing better than having a true friend like you standing with Israel and that is having you standing in Israel. Your visit here is the visit of an American President in… pic.twitter.com/e6LBaBnBUC

— ANI (@ANI) October 18, 2023

অন্যদিকে, গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের বড় ধরনের হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এই হামলা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের জন্য সমর্থন আদায়ের জন্য আমেরিকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সঙ্গে আরব নেতাদের শীর্ষ বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে আরব নেতাদের সঙ্গে তার একটি শীর্ষ বৈঠক করার কথা ছিল। এসব বিষয়ের মধ্যেই তেল আবিব পৌঁছেছেন বাইডেন। তবে জর্ডানের রাজা স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের কোনো সমাধান খুঁজে বের করতে বাইডেন সক্ষম নন।

বিডেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করবেন
গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় হামাসের সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস করা হলেও নিরীহ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এমন ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দেখছে বিশ্ব। এর মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর ‘সহানুভূতি’ গাজার মানুষের সঙ্গে যেতে পারে। তাই, বাইডেন চাইবেন এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার একটি নতুন পথ যাতে ইসরায়েল গাজায় হামলা বন্ধ করতে পারে এবং হামাসও জিম্মিদের মুক্তি দিতে পারে। কারণ তা না হলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার এই যুদ্ধ অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আরও বড় যুদ্ধ ঘটতে পারে। তাই তারা এই সংকটের সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। তবে অন্যান্য প্রযুক্তিগত দিকগুলোও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে বড় কথা হল বিডেন 50 বছর ধরে ইসরায়েল সফর করছেন এবং নেতানিয়াহুকে প্রায় 40 বছর ধরে চেনেন। দুজনেরই ভালো সম্পর্ক। এমতাবস্থায় বিডেন এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এখন দেখার বিষয় এই কঠিন পরিস্থিতিতে ৮০ বছর বয়সী অভিজ্ঞ বিডেন কী অবস্থান নেন?

গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণে ৫০০ জন নিহত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের ইসরায়েল সফর আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সফরের সময় রাষ্ট্রপতি বিডেনের তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং জর্ডানে আরব দেশগুলির নেতাদের সাথে দেখা করার কথা ছিল, কিন্তু বিডেনের বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান আমেরিকা থেকে উড্ডয়নের আগেই জর্ডান বৈঠকটি বাতিল করে দেয়। গাজার হাসপাতালে হামলার প্রতিবাদে এ ঘটনা ঘটেছে।

এমন পরিস্থিতিতে, ইসরায়েলের পক্ষে জোরালোভাবে নেওয়া বিডেনের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য সমস্যাযুক্ত হতে পারে, কারণ বিডেন নিজেকে একজন বিশ্ব নেতা হিসাবে দেখাতে চান যিনি উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সৎ সমঝোতা করতে পারেন। কিন্তু জর্ডান বৈঠক বাতিল হওয়া বিডেনের জন্য বিব্রতকর। এ ছাড়া এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায় মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা বাইডেনকে বিশ্বাস করেন না।