বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পরেই জেলায় জেলায় পাশের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শনিবারও সংসদ অফিসের সামনে পথ অবরোধ করেছে উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করা ছাত্রীরা। কেন এত ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভ করছে, সে নিয়ে জবাব চাইতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসকে নবান্নে তলব করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এ বছর করোনার জন্য পরীক্ষা হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের নম্বরের মূল্যায়নের জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নির্দেশিকা জারি করে তাদের বিশেষ একটি ফর্মুলার কথা জানায়। সমস্ত স্কুলগুলিতে পাঠানো হয় সেই নির্দেশিকা। মূল্যায়নের যে বিশেষ ফর্মুলা জারি করেছিল সংসদ, সে নিয়েই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ড়ুয়াদের আরও বেশি নম্বর পাওয়ার কথা।
অথচ, প্রাপ্ত নম্বরে দেখা গিয়েছে অনেকেরই ২০-২৫ নম্বর কম এসেছে। কোনও কোনও স্কুলে ৫০ শতাংশের বেশি পড়ুয়া ফেল করে গেছে। এর ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন পরীক্ষার্থীরা। ভালো কলেজে ভর্তি হতে সমস্যা হবে। পছন্দের বিষয়ে অনার্স পেতেও সমস্যা হবে। বিক্ষোভের ব্যাপারে আজ উচ্চমাধ্যমিক সংসদের সঙ্গে বিদ্যালয় প্রধানদের কথাও হয়েছে।
সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, কোন কোন বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে সে ব্যাপারে তারা যেন সংসদের সঙ্গে আলোচনা করে। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
Facebook Comments