ফের করোনা সংক্রমণ নিয়ে রেকর্ডের পথে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,১০৭ জন। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হলেন ১.৯০ লক্ষ মানুষ। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১.৬৩ লক্ষ মানুষ। কিন্তু এখনও অসুস্থ হয়ে চিকিত্সাধীন রয়েছেন প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার মানুষ। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মারা গিয়েছেন ৫৩ জন। সব মিলিয়ে করোনা আবহে রাজ্যে মারা গিয়েছেন মোট ৩,৭৩০ জন।
পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সাড়ে ৪২ হাজারের বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে সব নিয়ে রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ২২.৮৬ লক্ষের মতো। এর মধ্যে এই ১.৯০ লক্ষ মানুষ করোনা পজিটিভ হয়েছেন। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার খানিকটা বেড়ে হয়েছে ৮৫.৭৬ শতাংশ। যা জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ফলে বলাই যায় রাজ্য সরকার করোনা সংক্রমণ রুখতে সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাওয়াড়ি যে হিসেব দেখা যাচ্ছে তাতে উত্তর ২৪ পরগণায় ৫৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অন্যদিকে কলকাতায় ৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও কলকাতায় এই সময়ের মধ্যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন কিন্তু উত্তর ২৪ পরগণায় ১০ জন মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগণায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪,৮৪৮ জন। আর কলকাতায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪,০৮৩ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৪২৮ এবং ৮৪২ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ হাজার জন, যদিও কলকাতায় এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার। যদিও কলকাতায় সুস্থ হওয়ার হার উত্তর ২৪ পরগণার চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি, যে জেলাগুলিতে করোনা সংক্রমণ বেশি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি হল পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬৪ জন, হুগলিতে ১৫৬ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর ১৫৫ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১৫২ জন, নদিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ১২৬ জন, পূর্ব বর্ধমানে ১০১ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৯৪ জন, পুরুলিয়া ও কোচবিহারে ৯২ জন।
এদিন রাজ্যের ২৩টি জেলায় করোনা সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ঝাড়গ্রামে ১৫ জন ও কালিম্পং-এ ১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পাশাপাশি, যে জেলাগুলিতে বেশি সংখ্যক লোক মারা গিয়েছেন সেগুলি হল মালদা ও নদিয়ায় ৪ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন। এছাড়াও, এদিন ছ’জেলায় ২ জন করে ও চার জেলায় এক জন করে মারা গিয়েছেন।
Facebook Comments