গাড়ি থেকে নেমে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখনো তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের দিকে তেড়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনকর। ধমক দিলেন থানার আইসিকেও। আজ দিনহাটা শহরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনকর এদিন সকালে বিএসএফের হেলিকপ্টারে কোচবিহার বিমান বন্দরে এসে নেমে জেলার নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস প্রবণ এলাকা পরিদর্শনে যান। মাথাভাঙা, সিতাই ও শীতলখুচি হয়ে দিনহাটা শহরে পৌঁছাতেই তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। রীতিমত কালো পতাকা নিয়ে রাজ্যপালের গাড়ির সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।
আর তখনই রাজ্যপাল গাড়ি থামিয়ে সেখানে নেমে পড়েন। গাড়ি থেকে নেমে কার্যত তেড়ে যান বিক্ষোভরত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দিকে। রাজ্যপালের পাশে থাকা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, ‘সব গুলো ক্রিমিনাল। পুলিশ লাঠি চার্জ করুন।’
এরপরেই সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল দিনহাটা থানার আইসিকে ডেকে কার্যত ধমকের সুরে বলতে থাকেন, কি হচ্ছে এসব। আইসি জবাব দিতে গেলে আরও বিস্ফোরিত হয়ে ওঠেন। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে মানুষ যখন ঘর ছাড়া, মানুষের বাড়িঘর যখন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তখন কি হচ্ছে এসব? পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সংবাদ মাধ্যমের দিকে তাকিয়ে বলেন, “রাজ্যপাল যদি এভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হতে পারে? আপনারাই বুঝুন।”
এরপর দিনহাটা থেকে কোচবিহার সার্কিট হাউজের দিকে আসার সময়ও স্টেশনমোড় এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা করোনা ভ্যাকসিনের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে রাজ্যপাল গোব্যাগ স্লোগান তোলেন। সেখানে অবশ্য রাজ্যপাল গাড়িতে বসে বিক্ষোভকারীদের দিকে হাত জোড় করে সার্কিট হাউজে ঢুকে যান।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি দিনহাটা প্রসঙ্গ নিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, “একই পাড়ায় আক্রান্ত প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহর বাড়ি না গিয়ে উদয়ন গুহকে প্রানে মারার চক্রান্তকারী ও বেধড়ক পেটানো মূল অভিযুক্তের বাড়িতে দেখা করলেন মাননীয় রাজ্যপাল। ধিক্কার ধিক্কার। বিজেপির হয়ে সত্যিকারের দালালি করতেই এসেছেন তিনি।”
Facebook Comments