প্রতিদিনই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে আসছে। স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির (প-ডি) শিক্ষাকর্মী নিয়োগেও চরম দুর্নীতি হয়েছে। শুক্রবার সিবিআই গ্রুপ-ডি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, মোর্ট নিয়োগের ৬২ শতাংশই বেআইনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, মোট শূন্যপদ ছিল ৪৪৮৭টি। সেখানে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ২৮২৩ জনের। পাশাপাশি, নতুন করে বেশকিছু ফাঁকা ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। ১২৭টি সিবিআই’র হাতে রয়েছে এবং ২২৭টির খোঁজ চলছে।
এদিন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই’র রিপোর্ট পাওয়ার পর নির্দেশ দিয়েছেন, এসএসসি’কে জানাতে হবে শূন্যপদের সংখ্যা কত ছিল। নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে কতজন শিক্ষাকর্মীকে। কত সংখ্যায়ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানাতে হবে, তারা কতজনকে নিয়োগপত্র দিয়েছে। যাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে তাঁদের নাম, ঠিকানা এবং বাবার নাম জানতে হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল গ্রুপ-ডিতে ১৯১১ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৬৯০ জনের নাম প্যানেলে ছিল। সেগুলির মধ্যে ১২৫ জনের ওএমআর শিট পুরো সাদা। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, ৪ হাজার ৪৮৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল এসএসসি। এর মধ্যে ২ হাজার ৮২৩ জনের সুপারিশে কারচুপি হয়েছে, যা মোট সুপারিশের ৫০ শতাংশেরও বেশি।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিল করেছিল। আদালত তার নির্দেশে বলেছিল যত দ্রুত সম্ভব এই কর্মীদের বরখাস্ত করতে হবে। এব্যাপারে জেলার স্কুল ইন্সপেক্টরদের দায়িত্ব নিতে হবে। স্কুলে নিয়োগ হওয়ার পর এই কর্মীরা যে বেতন পেয়েছেন তা উদ্ধার করতে হবে।
Facebook Comments