কাশ্মীরকে ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রায় দুই বছর পর এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তবে কখন মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হবে তা খোলাসা করেননি নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, উপযুক্ত সময়ে তা ফিরিয়ে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নিজের বাসভবনে সর্বদলীয় বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিন ঘণ্টার এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আটটি দলের ১৪ জন নেতা। ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। কাশ্মীরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।
বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন,তাদের মোট পাঁচটি দাবি ছিল। অবিলম্বে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিধানসভা নির্বাচন দিতে হবে, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে ও আধিপত্য আইনে বদল আনতে হবে।
কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবির মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আগে ডিলিমিটেশন বা রাজ্যের নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। সীমানা পুনর্বিন্যাসের আগে নির্বাচন দেয়া সম্ভব নয়। করোনা মহামারির জন্য সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে বলেও জানান অমিত শাহ।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। দিল্লির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে রেখে বিধানসভা নির্বাচন করালে হবে না। প্রশাসনে আবারও কাশ্মীর ক্যাডার ফিরিয়ে আনতে হবে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির বলেন, কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। কাশ্মীরের জনগণ তাদের বিশেষ মর্যাদার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই চালিয়ে যাবেন, তাতে যত সময় লাগুক।.
রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি খতিয়ে দেখতে লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। এছাড়া বৈঠকে কাশ্মীর নেতাদের অন্যান্য দাবিগুলো মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
Facebook Comments