গতকাল সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। কলকাতাসহ ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে চলছে ভারী বর্ষণ। দিনভর বৃষ্টির সঙ্গে প্রচুর বজ্রপাতও হয়েছে কলকাতা-সহ সারা দক্ষিণবঙ্গে। বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতের ঘটনায় রাজ্যে গতকাল মারা যান ৫জন মানুষ। বজ্রপাতে দুই ২৪ পরগনায় ৩জন এবং পুরুলিয়ায় ২জনের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের প্রবণতা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আবহবিদরা। তাঁরা বলছেন, দূষণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে ওজন স্তরে গর্ত হয়ে যাচ্ছে। সেই জন্যই বাজ পড়ার প্রবণতা বেড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। আর তাতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। বজ্রপাতের সময় সতর্কতা হিসেবে আবহবিদরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। WNL এর পাঠকদের সেই পরামর্শগুলি তুলে ধরা হল-
১) বজ্রপাতের সময় খোলা বা উঁচু জায়গায় না থাকাই ভাল। সবচেয়ে ভাল হয় যদি কোনও দালানের নিচে আশ্রয় নেওয়া যায়।
২) বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বিদ্যুৎস্পর্শের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সেসময় গাছ বা খুঁটির কাছাকাছি থাকা নিরাপদ নয়। ফাঁকা জায়গায় যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে
৩) বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছে গিয়ে উঁকিঝুঁকি নিরাপদ নাও হতে পারে। এসময় জানালা বন্ধ রেখে ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
৪) বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা অনুচিত। এমনকি ল্যান্ড ফোন ব্যবহার না করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে স্পৃষ্ট হন।
৫) বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব ধরনের যন্ত্রপাতি এড়িয়ে চলা উচিত। টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও স্পর্শ করা ঠিক হবে না। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই সেগুলোর বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা ভাল।
৬) বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলেও সেটা নিরাপদ নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গাড়ি চালানো বন্ধ রেখে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
৭) অতিরিক্ত বর্ষণে রাস্তায় জল জমলে অনেক সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সেই জলে পড়লে হতে পারে দুর্ঘটনা। কারণ সেখানকার কাছাকাছি কোথাও বজ্রপাত হয়ে থাকলে সেই জলই হয়ে উঠতে পারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কারণ।
৮) বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা দুটোই খুব বিপজ্জনক। জরুরি কাজে যদি একান্ত বের হতেই হয়, পা ঢাকা জুতো ব্যবহার করা উচিত। রাবারের গামবুটজাতীয় জুতো এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল কাজ করবে।
৯) বজ্রপাতের সময় কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাঁকে খালি হাতে স্পর্শ করাও নিরাপদ নয়।
ছবি সৌজন্যেঃ state of the nation
Facebook Comments