আজ ১৭ই জুলাই। অনেকেই হয়তো জানেন না আজ বিশ্ব ইমোজি দিবস। আজ টেকনোলজি বিস্তার এতোটাই সবার হাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে স্মার্টফোন আর তার দৌলতে আমরা সবাই এই ইমোজি নামক আইকোনটির সঙ্গে পরিচিত। কমবেশী ব্যবহার করি সব্বাই। নানা রকম ভাব ভঙ্গিমা প্রকাশ করে একেওপরকে বার্তা চালনা এই আর কি। আসুন তবে জেনে এই ইমোজি সম্পর্কে কিছু তথ্য।
👉🏻 ১৯৯৯ সালে প্রথম তৈরি হয়েছিল ইমোজি। এই নিয়ে অবশ্য দ্বিমত আছে। অনেকেই দাবি করেন ১৯৯৭ সালে তৈরি হয়েছিল প্রথম ইমোজি। এক জাপানি শিল্পী সিগেতাকা কুরিতাকেই ইমোজির স্রস্টা বলে মনে করা হয়।
👉🏻জাপানি শব্দ ছবি এবং অনুভুতি (মোজি) এই দুটি শব্দ মিলিয়েই তৈরি হয়েছে ইমোজি। মোবাইলের দৌলতে সেই ইমোজি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ২০০০ সালে।
👉🏻বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইমোজি দিবস পালিত হচ্ছে আজ (সোমবার)। এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের এম্পায়ার স্টেট ভবনকে সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। অন্যদিকে লন্ডনের রয়্যাল অপেরা হাউজ দিবসটি উপলক্ষে ২০টি জনপ্রিয় অপেরা উপস্থাপন করবে। ইমোজি দিবস হিসেবে ১৭ জুলাই বেছে নেওয়ার কারণ হলো- এই দিনে ইমোজি তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল ক্যালেন্ডার ইমো। ২০১৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
👉🏻বিশ্ব ইমোজি দিবস উপলক্ষে এর প্রবর্তনকারী জেরেমি বার্গ বলেন, ইউনিকোড কমিটির কাছে প্রতি বছর নতুন ইমোজির স্বীকৃতির জন্য অসংখ্য অনুরোধপত্র আসে। তবে সবগুলোকে বিবেচনা করা সম্ভব হয় না। আমাদের নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করা ইমোজিগুলোই স্বীকৃতি পেয়ে থাকে।
👉🏻 বর্তমানে অফিসিয়াল ইউনিকোড স্ট্যান্ডার্ড লিস্টে ২ হাজার ৬৬৬টি ইমোজি রয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য সবগুলো সমানভাবে ব্যবহার হয় না। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে লাফ-ক্রাই ইমোজি। অর্থাত্ অতি হাসির কারণে চোখ দিয়ে জল পড়ছে এমন ইমোজিটিই ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
Facebook Comments