করোনাভাইরাস মহামারি থামানোর জন্য শুধু ভ্যাকসিন যথেষ্ট নয়। কেননা ভ্যাকসিন তো নিজে কিছুই করতে পারবে না যদি এর সঙ্গে অন্য কাজগুলোও আমরা না করি। আর যদি তা করা হয় তবেই এই মহামারি থামানো সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান সোমবার এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছেন বিশ্বকে। খবর এএফপি।
মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর এক বছর হতে চললো। ইতোমধ্যে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের দেহে ভাইরাসটি সংক্রমণ ঘটিয়েছে। এর মধ্যে ১৩ লাখের বেশি মারা গেছেন। এখনও কার্যকর ভ্যাকসিনের অনুমোদন না হলেও দুটি ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর বলে শেষ ধাপের প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ডব্লিউএইচও এর মহাপরিচালক টেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস সোমবার বলেছেন, ‘একটি ভ্যাকসিন আমাদের হাতে থাকা অন্য সরঞ্জামগুলোর পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে, তবে সেগুলো প্রতিস্থাপন করবে না। একটি ভ্যাকসিন একার শক্তিতে এই মহামারিকে থামাতে পারবে না।
শনিবার গোটা বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৬০ হাজার ৯০৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ডব্লিউএইচও প্রধান এমন কথা বললেন। এর আগে গত শুক্রবার ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪১০ জন আক্রান্তের মধ্য দিয়ে গত ৭ নভেম্বরের সর্বোচ্চ ৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভেঙেছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, প্রাথমিকভাবে এই ভ্যাকসিনের সরবরাহকে সীমাবদ্ধ করা হবে। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে। আশা করছি এতে করে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানিয়ে নিতে পারবে।’
তবে তিনি সতর্ক করে এও বলেছেন যে, ‘এটা সত্ত্বেও এখনও ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়ানোর অনেক উপায় থাকছে। তাই নজরদারি চালিয়ে যাওয়া দরকার হবে। এ ছাড়া শঙ্কায় থাকা মানুষসহ সবার করোনা পরীক্ষা ও আইসোলেশন করা ছাড়াও চিকিৎসা সেবার দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কন্টাক্ট ট্রেসিংও চালিয়ে যেতে হবে।’
Facebook Comments