২২ বছরের এক তরুণীকে নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে ৪ যুবক এবং একজন মহিলা। যুবতীকে মারধর,অত্যাচার করার পর নগ্ন করে যৌনাঙ্গে বোতল ভরে দেওয়া হচ্ছে, গণধর্ষণের এমনই একটি ভিডিও নিয়ে বৃহস্পতিবার তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। গোটা ভারতে এই ভিডিওটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ঝড় তুলতেই নৃশংস বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। প্রথমে ঘটনার জায়গা নিয়ে স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনায় এক মহিলা-সহ মোট ৫ জন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এবং অভিযুক্তরা প্রত্যেকে বাংলাদেশী নাগরিক। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতা নিজেও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
পুলিশের অনুমান গণধর্ষণের এই ঘটনাটি বেঙ্গালুরুতে ঘটেছে প্রায় ছয় দিন আগে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ বলেছে, ‘‘ভিডিয়ো ক্লিপের বিষয়বস্তু এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় যে তথ্য উঠে এসেছে তার ভিত্তিতে ধর্ষণ, শারীরিক নিগ্রহ-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ পুলিশ বলেছে, ‘‘এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা একটিই দলের অংশ এবং মনে করা হচ্ছে তাঁরা বাংলাদেশের। টাকা পয়সা নিয়ে মতভেদের জেরেই ওই যুবতীর উপর এ ভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্যাতিতাকে পাচার করার জন্যই বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা হয়েছিল।’’
বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা মেয়েটি এখন অন্য রাজ্যে রয়েছেন। পুলিশের একটি দল তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে বলে জানা যায়। মেয়েটিকে ফিরিয়ে এনে বয়ান নথিভুক্ত করা হবে। নৃশংস ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অসম পুলিশ আক্রমণকারীদের ছবি আপলোড করে করায়ত্ত করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের সহযোগিতাও চেয়েছিল। এবং পুরস্কার দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছে। অসম পুলিশ অফিসিয়াল টুইটারে বলে। “ঘটনাটি কোথায় সংঘটিত হয়েছে আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়, অসমে সংঘটিত নাও হতে পারে। আমরা অত্যন্ত সক্রিয়তার সাথে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে আগ বাড়ছি”।অসম পুলিশ সঙ্গে বলে।
ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওর অভিযুক্তদের ছবির স্ক্রিনশট প্রকাশ করে ট্যুইটার পোস্ট করে অসম পুলিশ জানায় এ বিষয়ে যাঁরা তথ্য দিতে পারবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। টুইটারে ভিডিয়োর স্ক্রিনশট শেয়ার করে ৫ যুবকের ছবি দিয়ে অসম পুলিশ লিখেছে, একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় এই পাঁচ জনকে এক তরুণীর উপর অত্যাচার করতে দেখা গিয়েছে। কবে কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে যাঁরা এদের খোঁজ দিতে পারবেন, বা এই ঘটনাটি সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারবেন, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
অভিযুক্তদের ধরতে সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে এসে নিগৃহীতা যাতে দ্রুত বিচার পান সেই বার্তাও দেয় অসম পুলিশ। এরপর সামনে আসে যে, ঘটনাটি ঘটেছে ব্যাঙ্গালুরুতে।
উল্লেখ্য যে, চক্রটি নারী সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ অনুসন্ধানে জানতে পারে।
Facebook Comments