হরলিক্সকে আর হেলথ ড্রিঙ্কস বলা যাবে না। নাম বদলে গিয়েছে। এখন একে ‘ফাংশনাল নিউট্রিশনাল ড্রিঙ্কস’ বলছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড(HUL)। শুনতে বেশ ভারী মনে হচ্ছে? তাহলেও কিছু করার নেই। কারণ কেন্দ্রের এক পদক্ষেপের পরেই এই সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে একটি নির্দেশ দেয়।
তাতে বলা হয়, ‘Health Drinks’ ক্যাটাগরির মধ্যে ‘ড্রিঙ্কস অ্যান্ড বেভারেজ’ রাখা যাবে না।
স্বাভাবিকভাবেই, এরপর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলি আর হরলিক্সকে হেলথ ড্রিঙ্ক বলতে পারবে না।
এরপর গত ২৪ এপ্রিল হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের CFO রীতেশ তিওয়ারি একটি ঘোষণা করেন। সেখানে এই ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে জানান। বলেন, ঠিক কোন ক্যাটাগরির জিনিস, তা আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
কিন্তু এই ‘ফাংশনাল নিউট্রিশনাল ড্রিঙ্ক’ আবার কী?
HUL-এর ব্যাখা, এই ক্যাটাগরির ড্রিঙ্কে প্রোটিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির চাহিদা পূরণ হবে।
ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটিভ নিউট্রিশনের মতে, ‘ফাংশনাল নিউট্রিশন’ হল, কারও লাইফস্টাইল অনুসারে পুষ্টির চাহিদা মেটায় এমন খাবার।
বর্নভিটা এবং হরলিক্সের মতো ড্রিঙ্কসে চিনি অত্যন্ত বেশি পরিমাণে থাকে বলে অভিযোগ। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলেই এগুলি খান। এই নিয়ে একাধিক মহলে উদ্বেগের পরপরই এই সিদ্ধান্ত।
ফুড ফার্মার নামের এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছিল। তাতে ক্যাডবেরির বোর্নভিটা ও হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের হরলিক্সের মতো জনপ্রিয় ড্রিঙ্কে চিনির অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণের উল্লেখ করা হয়।
ভিডিওটি পৌঁছয় ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের(NCPCR) কাছেও। এরপরেই ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)-এর কাছে তদন্তের সুপারিশ করা হয়। এর ভিত্তিতেই কেন্দ্র ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে হেলথ ড্রিঙ্কস ক্যাটাগরিতে বদল আনার নির্দেশ দেয়।
Facebook Comments