ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া অঞ্জু নামের এক নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং নাসরুল্লাহ ফাতেমাকে বিয়ে করেছেন। মেয়ের ধর্মান্তর ও বিয়ে নিয়ে বাবার বক্তব্য সামনে এসেছে। অঞ্জুর বাবা দয়ারাম থমাস বলেছেন যে এখন তার মেয়ের সাথে তার কিছুই করার নেই, সে যা খুশি তাই করতে পারে। এর পাশাপাশি অঞ্জুর বাবাকেও মিডিয়ার প্রশ্নে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। তিনি বলেন, অঞ্জুর মনে কী চলছে, তারা জানবে কী করে? যে মেয়েটি ঘর ছেড়েছে সে আমাদের জন্য মারা গেছে। স্বামী ও দুই সন্তানের কথাও সে ভাবেনি।
গয়া প্রসাদ থমাস বলেছেন যে অঞ্জুর প্রথম বিয়ে হয়েছিল 2005 সালে। তিনি বলেছেন যে বাবা এবং মেয়ে একে অপরের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন, তবে দুজনের মধ্যে তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই, যেমনটি অন্যান্য শিশুদের ক্ষেত্রে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে দেখা করতে ব্যবহৃত হয়। বাবা বলেন, অঞ্জু শুধু তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে, তার সঙ্গে নয়। এর সাথে বাবা বলে যে অঞ্জু কখন বীজ তৈরি করেছে এবং কোথায় যাচ্ছে সে নিজেও জানে না।
অঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ টমাসকে ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি রেগে যান। তিনি বলেন, ধর্মের এই ব্যাপারটা মাঝখানে কোথা থেকে এলো। আমি জ্যোতিষী নই যে তার মন বুঝব। কি করে বুঝব ওর মনে কি চলছে? তিনি বলেন, চলে যাওয়ার সময় অঞ্জু তার দুই সন্তানের কথাও ভাবেনি। এটা করতে গেলে আগে বলত, এখন ছেলে-মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। সেই শিশুদের লালন-পালনের দায়িত্ব কার হবে?
অঞ্জুর বাবা বলেন, তার পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। তিনি অঞ্জুকে পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেননি বা তাকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করবেন না। বাবা বলেন যে তিনি অঞ্জুর সাথে কথা বলতেও চান না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সরকারের কাছে আবেদনও করব না, তাকে সেখানেই মরতে দিন, ভগবান তার সন্তানদের দেখভাল করবেন।
রাজস্থানের বাসিন্দা অরবিন্দ মীনাকে বিয়ে করেছিলেন অঞ্জু। ২১ জুলাই পাকিস্তানে পৌঁছেন অঞ্জু। তার এই পদক্ষেপে, বাবা বলেছেন যে অঞ্জু একটি ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে। নাসরুল্লাহ, যার জন্য অঞ্জু পাকিস্তানে গেছে, এমনকি তার বাবারও তার সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। বিয়ের পর ধর্ম পাল্টে ফেলেন অঞ্জু। অঞ্জুর লাহোরে থাকার বিষয়টি যেভাবে সামনে এসেছে, তার পরে কান তুলল গোয়ালিয়র পুলিশ ও অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাও।
অঞ্জুর বাবা জানান যে অঞ্জুর শৈশবের বেশিরভাগ সময় কেটেছে তার দিদার বাড়ি জালোরে। তারও চার বোন এবং এক ভাই আছে, কিন্তু অঞ্জুর উন্মাদনার কারণে তার মা দিকের আত্মীয়রা তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। এ কারণে একদিন আগে তিনি অঞ্জুর পাকিস্তানে যাওয়ার কথা জানতে পারলেও বাবা বলেন, অঞ্জুর স্বভাব ভালো এবং সে কোনো ছেলের ফাঁদে পা দেবে না। বাকি অঞ্জু কীভাবে পাকিস্তানে পৌঁছেছে সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
সূত্রঃ ABPনিউজ
ছবিঃ সংগৃহিত
Facebook Comments