মুম্বাই, মহারাষ্ট্রের ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোল রুম ২৬/১১ হামলার মতো সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দিয়ে একটি কল পেয়েছে। কলার উর্দুতে কথা বলে, ‘সীমা হায়দার ফিরে না এলে ভারত ধ্বংস হয়ে যাবে।’ কলার আরও হুমকি দেন ২৬/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার। কলার আরও বলে যে যদি কোনও হামলা হয় তবে এর জন্য উত্তর প্রদেশ সরকার দায়ী থাকবে। মুম্বাই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম 12 জুলাই এই কলটি পেয়েছিল, যা তদন্ত করা হচ্ছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখছে মুম্বাই পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যদিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একে ‘প্রতারণার কল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এই কলের বিষয়ে গভীর তদন্ত করছি। কারা এমন কল করেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানের সীমা হায়দার নামে একটি মেয়ে বৈধ নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং তার প্রেমিক শচীন মীনার সাথে গ্রেটার নয়ডায় বসবাস করছিলেন। তাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
গত ৪ জুলাই ভিসা ছাড়াই নেপাল হয়ে ভারতে ঢোকার অপরাধে সীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। 2019 সালে PUBG-তে ভারতের শচীন মীনার প্রেমে পড়েন সীমা। তার পাকিস্তানি স্বামী গোলাম হায়দারও ভারত সরকারের কাছে সীমাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে বলেছেন। সীমার স্বামী বলেছেন, তারাও তাদের সন্তানদের ফিরে পেতে চান। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন যে তিনি পাকিস্তানে ফিরে যাবেন না।
এসবের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া সত্ত্বেও তার ইংরেজি বলার দক্ষতা দেখে সীমা হায়দারকে পাকিস্তানি গুপ্তচর বলেও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও তার হিন্দির ওপর দক্ষতাও, মিডিয়ার সামনে তার সাবলীল আচরণ, শুধু তাই নয় তার ভারতে প্রবেশের পদ্ধতিও প্রশ্ন চিন্হ তোলে। যদিও সে তা প্রত্যাখ্যান করে। তিনি বলেন, “এমন কিছু নেই। অবশেষে সত্য বেরিয়ে আসবে। এটা সত্যি হলে আমি একাই ভারতে আসতাম, আমার নিষ্পাপ সন্তানদের নিয়ে নয়।”
সীমা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের খয়েরপুর মীর জেলার কোট ডিজির একটি গ্রামের বাসিন্দা। যদিও গোলাম হায়দার সিন্ধুর জ্যাকোবাবাদ জেলার গাড়ি খাইরোর একটি গ্রামের বাসিন্দা। হায়দার জানান, সীমা ও তার প্রেমের বিয়ে হয়েছিল। সীমার বাবা-মায়ের অসম্মতির কারণে বিয়ের পরপরই তারা করাচিতে চলে যান। হায়দার ২০১৯ সাল থেকে সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। হায়দার আরও জানান, সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য তার পাসপোর্ট করা হয়েছে, কিন্তু তিনি সন্তানদের নিয়ে ভারতে পৌঁছেছেন।
ছবি সংগৃহিত
বলা হচ্ছে, 2019 সালে PubG-তে দেখা হয়েছিল সীমা ও শচীনের। সীমা পাকিস্তান থেকে দুবাই, তারপর দুবাই থেকে নেপাল এবং এখানেই শচীনের সাথে প্রথম দেখা হয়। নেপাল হয়ে ভারতে আসেন। সীমার স্বামী আরও জানান, সৌদি আরব যাওয়ার জন্য তার পাসপোর্ট করা হয়েছে, কিন্তু সন্তানদের নিয়ে তিনি ভারতে পৌঁছেছেন।
সীমা হায়দার না ফিরলে ২৬/১১-এর মতো হামলার হুমকি

Facebook Comments