নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রাকেশ টিকায়েত। কৃষি আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানানোর পাশাপাশি বৈঠক থেকেই মোদি সরকারের বিরোধিতার সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটবন্দি থেকে শুরু করে ভ্য়াকসিন নীতি, মমতা যেন ‘ক্রোনোলজি’ ধরে কেন্দ্র বিরোধিতার কার্যকারণ দর্শালেন। ইউপিএ-চেয়ারম্যান হবেন কিনা প্রশ্নের উত্তরে মমতার স্পষ্ট উত্তর, মোদিকে তাড়াতে চাই। সোমবারই ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য ফ্রি ভ্যাকসিন ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, কেন্দ্র কেন ছয় মাস আগে এটা করেনি? ভ্যাকসিন যে করের টাকাতেই পাচ্ছে দেশের মানুষ তা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “ফ্রি ভ্যাকসিন বিজেপি নিজের পকেট থেকে দিচ্ছে না। দেশের জনগনের টাকা থেকে দিচ্ছে।” ওই বৈঠক থেকেই সুর চড়িয়ে মমতা এদিন বলেন, “৩৫ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? প্রধানমন্ত্রী ভাষণ ছাড়া আর কিছুই দেন না। পিএম কেয়ারস ফান্ডে কত টাকা আছে?” রাজ্যের ভ্যাকসিন কেনার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মত, সব সময় রাজ্য সরকারকে বুলডোজ করা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ঠিক নয়।
প্রসঙ্গত এই বৈঠকের দিনই বহু জায়গায় পেট্রোল/ডিজেল এর দাম ১০০ পেরিয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মমতার অভিমত, “ওরা কারো কথা ভাবে না। কোভিড ভ্যাকসিনের উপর জিএসটি লাগু করছে। এটা তো মানুষ মারার চক্রান্ত।”
কথায় কথায় এদিন মমতা পৌঁছে গেলেন নোটবন্দির পুরনো প্রসঙ্গে। বললেন, “সাত বছরে বিজেপি যে রাজত্ব চালাচ্ছে তা শুধু বে-রোজগারি বাড়ানোর জন্য। দেশের অর্থনীতির আজ হয়ে গেছে। অফিসারদেরকেও ভয় দেখাচ্ছে। ওদের কিছু বলার অধিকার ও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আস্থাশীল মুখ্যমন্ত্রীর অভিমত, রাজ্য সরকারগুলোর একটা ইউনিয়ন তৈরি করা উচিৎ। যাতে কোনো রাজ্যের বিরুদ্ধে অন্যায় কিছু হলে সবাই একসাথে প্রতিবাদ করা যায়।”
প্রসঙ্গত রাকেশ টিকায়েতকে আজ কৃষি আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের এই বিলের বিরুদ্ধে এক ছাতার তলায় এনে ভার্চুয়াল বৈঠক করার পরিকল্পনাও জানান তিনি।
Facebook Comments