ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য কেন্দ্রের তরফে ১ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ত্রাণ এবং পুনর্গঠনের জন্য অনুদান পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই খাতে আরও ২৭০৭.৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দিল্লি থেকে টিম রাজ্যে আসে তদারকির জন্য। ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের জন্য কত টাকা বরাদ্দ করতে হবে তা ঠিক করেন তারাই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বাংলা সহ ৫ টি রাজ্যকে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং ধস মোকাবিলার জন্য ৪,৩৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ওড়িশ্যা পেয়েছে ১২৮ কোটি টাকা। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং সিকিম।
যদিও এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে অনুদান হিসাবে ১ লক্ষ কোটি টাকা চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় দফায় যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট হবে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে আবার রাজনৈতিক বাদানুবাদ শুরু হবে তা বলার অবকাশ থাকছে না। আবার ঠিক নির্বাচনের আগে ২৭০৭ কোটি টাকা রাজ্যকে বরাদ্দ করে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করতে পারে গেরুয়া শিবির। যদিও অন্যান্য রাজ্যের ভোট না থাকলেও বাংলায় যে এটা ভোট অঙ্ক কষেই ব্যবহার করা হল তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ মে সুন্দরবনের সাগরদ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান। যার ফলের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলী সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ঠিক তার পরেই এলাকা পরিদর্শন করতে এসে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর আবার কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দ করা হল ২৭০০ কোটি টাকা।
Facebook Comments