নতুন বছর থেকে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ছুটবে সেমি হাইস্পিড ট্রেন ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’। এই ট্রেনের গতি থেকে আরম্ভ করে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য সবটাই বিশ্বমানের। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, হাওড়া থেকে এনজেপি রুটে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর হাই স্পিড ট্রেনের উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বভাবত, ‘বন্দে ভারত’-এর সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার, কিন্তু হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের গতি কতটা হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী, বিকেলের দিকে হাওড়া থেকে রওনা দিলে ট্রেনটি সেই দিনের রাতের মধ্যে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছে যাবে এবং শুধুমাত্র মালদহ স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াবে। কিন্তু সপ্তাহে ক’দিন চলবে, কখন ছাড়বে, গতিবেগ কী হবে বা ভাড়া কত হবে তা এখনও সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
📌প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়কালে ‘বন্দে ভারত’ দেশের মোট ছটি রুটে চলছে। আর কয়েকদিন পরে সেই তালিকায় জুড়ে যাবে হাওড়া- নিউ জলপাইগুড়ির নামও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই বলেছেন যে ৭৫টি নতুন “বন্দে ভারত” এক্সপ্রেস ট্রেন আগামী ১৫ই আগস্ট ২০২৩-এর মধ্যে চালু হবে। প্রতিটি বন্দে ভারতে স্বয়ংক্রিয় দরজা দিয়ে সজ্জিত সমস্ত কোচ সহ মোট ১,১২৮ জন যাত্রীর বসার ক্ষমতা রয়েছে। গতিবেগ ছাড়াও, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্বমানের ট্রেনগুলিকে টক্কর দিতে তৈরি বন্দে ভারত। পুরো ট্রেনটাই এসি চেয়ার কার (AC Chair car – ACC) হবে এবং প্রতিটি আসন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারবে অর্থাৎ কোচে থাকবে রিভলভিং চেয়ার (Revolving seat)। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের অন্দরেই। নতুন বন্দে ভারতে ৩২ ইঞ্চি এলসিডি টিভি থাকবে যা আগের সংস্করণে ২৪ ইঞ্চি ছিল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রেন পরিচালনার জন্য যে সফটওয়্য়ার প্রয়োজন, সেটা এখনও তৈরি হয়নি। এই ট্রেনটি চালু হয়ে গেলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াতে সুবিধা পাবেন পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, স্বয়ংক্রিয় দরজা, একটি জিপিএস-ভিত্তিক অডিও-ভিজ্যুয়াল যাত্রী তথ্য সিস্টেম, অনবোর্ড ওয়াই-ফাই এবং আরামদায়ক আসন সমস্ত কোচের দ্বারা ভাগ করা বৈশিষ্ট্য।
Facebook Comments