আসামের অনেক এলাকায় বন্যার কারণে, রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ এবং মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজন। বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি এক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আসামের বরাক উপত্যকা এবং ডিমা হাসাও জেলা সহ পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মণিপুরের কিছু অংশের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে বিঘ্নিত হয়েছে।
রাজ্যের হোজাই জেলায় ৭৮ হাজার ১৫৭ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরই রয়েছে ছাচাড় জেলার অবস্থান। সেখানে ৫১ হাজার ৩৫৭ জন মানুষ জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া ওই জেলার ১৬ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমির ফসল জলে তলিয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার রাস্তা এবং সেতু সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে বায়ুসেনার বাহিনীর সহায়তায় দুটি ট্রেন থেকে ২ হাজার ৮০০ যাত্রীকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। গত দুই দিন ধরে ট্রেন দুটি দিমা হাসাওয়ের লুমডিং-বদরপুর সেকশনে আটকে ছিল।
প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ মেরামতের কাজ চলছে বলে প্রায় ১৮টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ডিমা হাসাওতে যোগাযোগের চ্যানেলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। জানা গেছে, ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে খুলেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ৩২ হাজার ৯৫৯ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ), ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসকে বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার তত্পরতা চালানোর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
Facebook Comments