উত্তর ভারতের কয়েকটি অংশে তিন দিন ধরে তুমুল বৃষ্টিপাতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই অঞ্চলগুলোর বহু নগর ও ছোট শহরের রাস্তা ও ভবনগুলো হাঁটুসমান জলে তলিয়ে আছে।
আবহাওয়া বিভাগ তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকাগুলোতে আগামী দুদিন আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও দিল্লির বাসিন্দারা অনলাইনে যেসব ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন, তাতে জলের তোড়ে যানবাহনকে কাগজের নৌকার মতো ভেসে যেতে দেখা গেছে।
অন্য ভিডিওতে আবাসিক এলাকাগুলোতে প্রবল বেগে কর্দমাক্ত জল ঢুকতে, নদীর জল উপচে তীরের সবকিছু ডুবে থাকতে এবং মাটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হতে দেখা গেছে। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হরিয়ানা হাতিনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে এক লাখ কিউসেক জলে যমুনা নদীতে ছেড়ে দিয়েছে। এতে বন্যার আশঙ্কায় দিল্লির সরকার বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর ওপর নজর রাখার জন্য ১৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। সেখানে মানালি, কুলু, চাম্বা, কিন্নৌরে নদীতে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। নেমেছে পাহাড়ি ধস। উত্তাল নদী একের পর এক বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। শতদ্রু, বিপাশা, চন্দ্রভাগাসহ অনেক নদীর জল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মানালি, কুলু, কাসোলে অনেক গাড়ি স্রোতের জলে ভেসে গেছে। ভূমি ধসের ফলে হিমাচলে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের অবস্থাও খারাপ। সেখানেও ধস ও বন্যার খবর এসেছে। প্রায় প্রতিটি নদীতেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে জল প্রবাহিত হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের কাথুয়া ও সাম্বাতে বিপদসংকেত জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। তিনদিন বন্ধ থাকার পর রোববার অমরনাথ যাত্রা আবার শুরু হয়েছে। রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও নিচু এলাকাগুলো ডুবে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় সব স্কুল, অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে।
Facebook Comments