বুলডোজার ব্যবহার করে উচ্ছেদ, সম্পত্তি ভেঙে ফেলার ব্য়াপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে হলফনামা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তিন দিনের মধ্যে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত একটি আবেদনের শুনানি করছিল। নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদের অভিযোগ। অভিযোগ করা হয় যে সরকার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে। এবং তাদের সম্পত্তি বুলডোজার চালিয়ে দিচ্ছে। আবেদনকারীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে ভাঙার আগে তাঁদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি।
এ ব্য়াপারে জমিয়ত-উলামা-ই-হিন্দের তরফে আবেদন দায়ের করা হয়েছিল। যাতে যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে সে রাজ্য আর কোনও সম্পত্তি ধ্বংস করা না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আদালত নির্দেশ দিক, তেমনই আর্জি জানানো হয়েছিল। অ্যাডভোকেট নিত্য রামকৃষ্ণ জানান, বুলডোজিং একটি ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা হতে পারে না। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলছেন, আপনারা বেরিয়ে আসুন, আমরা ব্যবস্থা নেব। আদালত থেকে বেরিয়ে এসে তিনি পরে বলেছিলেন, “সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে যে বুলডোজ চালানো করা প্রতিশোধমূলক হতে পারে না এবং আইনের শাসন অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত।”
সরকার আদালতকে জানিয়েছে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সময় কোনও আইন ভাঙা হয়নি। এর পাশাপাশি বুলডোজার চালানোর আগে নোটিশ না দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে সব কাজ বন্ধ করতে বলা হচ্ছে না। “তবে, এই ধরনের সমস্ত কাজ অবশ্যই আইনের আওতার মধ্যে হতে হবে,” জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। “সরকার তার আপত্তি দাখিল করার জন্য সময় পাবে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের তাদের (পড়ুন আবেদনকারীদের) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত। তাঁরাও সমাজের অংশ। যখন কারও অভিযোগ থাকে, তাঁদের তা সমাধান করার অধিকার রয়েছে। এই ধরনের কাজ শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী ঘটতে পারে। আমরা আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি করব,” আদালত বলেছে।
সলিসিটর জেনারেল বলেন যে জাহাঙ্গীরপুরীতে কে কোন সম্প্রদায়ের সম্পত্তির মালিক, তা না দেখেই কাঠামো সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের কার্যক্রম যথাযথ প্রক্রিয়ার সঙ্গে চলছে এবং সর্বশেষ বুলডোজার চালানোও একই উদাহরণ। সেখানে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল। সরকারের হলফনামায় নোটিশ পাঠানোর ব্যাপারে সব তথ্য থাকতে হবে। এবং তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে কথা জানাতে হবে। ২১ জুন এই বিষয়ে ফের শুনানি হবে।
Facebook Comments