বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে ৭২ ঘন্টা। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডে নন্দাদেবী হিমবাহে ৫৬০০ মিটার উচ্চতায় একটি ধসের ফলেই উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ হরপা বানে এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মত্যুর খবর পাওয়া গিয়ছে। নিখোঁজ ১৯৭ জন। বুধবার সকালে জানা গিয়েছে, টানেলের মধ্যে আটকে থাকা মানুষজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী বাহিনীকে। উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬ জন। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। জানা গিয়েছে, এদিন আরও ৬ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। নিখোঁজদের মধ্যে ১৩৮ জনই রয়েছে এনটিপিসির নির্ণীয়মান প্রকল্পের কর্মী, ঋষিগঙ্গা প্রকল্পের ৪৬ জন কর্মী ও ১২জন গ্রামবাসী। উদ্ধারকারী বাহিনীর আশঙ্কা, যত সময় এগোবে, মৃতের সংখ্যাও বাড়তে থাকবে।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬। নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন তপোবন টানেলের ভিতর আটকে থাকা ২৫-৩৫ জন । উদ্ধারকারী দলের একাংশের বক্তব্য, টানেলে আটকে থাকা মানুষজন হাইপোথেরমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর সেই চ্যালেঞ্জকে সঙ্গী করেই দিনরাত এক করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকারী দলের একাংশের কথায়, ১.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের ভিতর থেকে কাদাজলে আটকে থাকা ৩৪ জন কর্মীকে উদ্ধার করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলায় ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তপোবন টানেলের মধ্যেও চলছে উদ্ধারকাজ। মঙ্গলবার রাত থেকে সেখানে উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। হিমবাহের টুকরো, বড় বড় পাথর টানেলের মুখ থেকে সরানো গিয়েছে। এএনআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখান থেকে প্রায় ৩০ জন মানুষ আটকে রয়েছেন।
Facebook Comments