তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখের কথায় ভরসা পারছেন না কিসান ইউনিয়ন (বিকেইউ)-এর নেতা রাকেশ টিকায়েত। সরকার যতক্ষণ না পুরোপুরি ভাবে এই আইন প্রত্যাহারে সিলমোহর দিচ্ছে ততক্ষণ অবস্থান উঠবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “সবে তো শুরু! যতদিন না সংসদে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পাশ হচ্ছে ততদিন অবস্থান জারি থাকবে। খুঁটি তখনই উঠবে যে দিন কাজ পাকা হবে।”
টিকায়েত আরও জানান, সংযুক্ত কিসান মোর্চা শুক্রবার এ বিষয়ে আলোচনা করবে। সামগ্রিক বিষয় পর্যালেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
গত বছরের নভেম্বর থেকে সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানায় আন্দোলনে বসেন ভারতীয় কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা পর্যন্ত কৃষকদরে ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত রাজধানী থেকে আন্দোলন না তোলার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় বারং বার। দফায় দফায় বৈঠকের পরেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। সরকার এবং কৃষক দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। অবশেষে চাপে পড়ে কৃষি আইন পাশ হওয়ার এক বছর পর খোদ প্রধানমন্ত্রী সেই আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন। জয় হলো কৃষকদের।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হয় তিন কৃষি আইন। এরপর থেকেই এই আইনের বিরোধিতায় হরিয়ানা, পাঞ্জাবসহ দেশের নানা প্রান্তে আন্দোলন শুরু হয়। নভেম্বরে কৃষকরা দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসেন। সেই থেকেই আন্দোলন চলছিল। সেই আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিল বিকেইউ।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করতেই বিকেইউ-এর নেতা টিকায়েত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ৬০০ কৃষকের আত্মবলিদানকে বিফলে যেতে দেওয়া হবে না। এই আন্দোলনকে মজবুত করতে বহু কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। আত্মবলিদানকে উৎসর্গ করে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাববেন তারা।
Facebook Comments