গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোডে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে অকস্মাত্ এক বিস্ফোরণ ঘটে। তবে, বিস্ফোরণ তেমন ভয়াবহ ছিল না। এর ফলে তিনটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও কয়েকটি গাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের পর বোম্ব স্কোয়াড ও ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায়। ঘটনার নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। অনুমান, এই বিস্ফোরণে আইইডি, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, দিল্লির ইজরায়েলের দূতাবাস থেকে অল্প দূরেই একটি চলন্ত গাড়ি থেকে একটি প্যাকেট ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। এরপরই এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এই প্যাকেট থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে এটি। চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, গতকালের ঘটনাটি একটি ট্রেলার ছিল মাত্র। চিঠিতে ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানি ও ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মহসিন ফখরিজাদেইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠি পাবার পরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
চিঠি পাবার পর এই ঘটনায় তার সঙ্গে ইরানের যোগ রয়েছে বলে অনুমান করছেন অনেকেই। ইজরায়েল এই ঘটনাটিকে প্রথম থেকেই জঙ্গী হামলার চেষ্টা হলে জানিয়েছে। গতকাল এই বিস্ফোরণ ঘটার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যোগাযোগ করেছিলেন ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রী গাবি আশকেনজাইয়ের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন যে, ঘটনাটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে ভারতের পক্ষ থেকে।
ইজরায়েলের দূতাবাসের সমস্ত কর্মী নিরাপদ ও সুরক্ষিত আছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পেছনে যারা জড়িত আছে, তাদের ধরতে কোন কমতি রাখবে না ভারত। এই ঘটনার তদন্ত করতে ইজরায়েল পুলিশের বিশেষ প্রতিনিধি দল আজই দিল্লি এসে পৌঁছাবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, গতকালের বোমা বাজারের সাধারণ জিনিস দিয়েই তৈরি হয়েছিল। তাতে কম মাত্রার আইইডি, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল।
Facebook Comments