রবিবার সন্ধ্যায় গোরখনাথ মন্দিরে হামলার পিছনে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বলছে, ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসী যোগসূত্র উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এদিকে, উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘটনার তদন্তভার ATS-এর হাতে তুলে দিয়েছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও আজ সন্ধ্যায় গোরখপুরে পৌঁছাবেন।
মুম্বাই থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করা অভিযুক্ত মুর্তজা মুখ্যমন্ত্রী যোগীর মঠের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তিনি ধর্মীয় স্লোগানও দেন। ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে মন্দিরের ভেতরেও প্রবেশের চেষ্টা করে। এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময়, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ADG) আইন শৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার সোমবার বলেন, “এক ব্যক্তি জোর করে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমণ করেছিল। অভিযুক্তের নাম আহমেদ মুর্তজা আব্বাসি, যিনি গোরখপুরের বাসিন্দা।
এডিজি আরও বলেন, ‘মামলাটি এডিএস-এ স্থানান্তর করা হয়েছে এবং আমরা সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উড়িয়ে দিতে পারি না। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” গোরখপুরের এসএসপি বিপিন টাডা বলেন, “অভিযুক্তরা জোরপূর্বক ধর্মীয় স্লোগান দিতে গিয়ে গোরখনাথ মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পুলিশ সদস্যরা বাধা দেয়।” তথ্য জানিয়েছে যে দুই পুলিশ সদস্য আহতদের চিকিত্সা করা হচ্ছে।
এসএসপি আরও বলেন যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অন্যান্য ধারাগুলির পাশাপাশি আইপিসির 301 ধারায় (খুনের চেষ্টা) মামলা দায়ের করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এই ঘটনার নিন্দা করেন এবং বলেন সরকার ঘটনাটি আমলে নিয়েছে।
রবিবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরে এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে জোর করে প্রবেশ করে এবং এই ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ আধিকারিকদের কথা অনুযায়ী, আততায়ী ‘আল্লা হু আকবর’ বলে চিৎকার করতে করতে পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা করে এবং এক পুলিশকর্মীর এসএলআর রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে। ওঅ ব্যক্তিকে থামানো যাচ্ছিল না, তাকে তৎক্ষণাত গ্রেফতার করা হয় এবং সেও হামলায় আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Facebook Comments