ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করল টুইটার। তাদের প্রকাশিত মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মী, লাদাখকে দেশের বাইরে দেখানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বজরং দলের নেতা। ভারতে টুইটারের প্রধান মণীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে এফআইআর করা হয়েছে। যে কোনও সময় তাঁকে আটক করা যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, “ভারতের টুইটার এমডি মণীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০৫ (২) ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি সংশোধিত আইন ২০০৮ এর ৭৪ নং ধারায় বজরং দলের নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজূ করা হয়েছে বুলন্দশহরে। জানা গেছে, সোমবার রাতে বজরং দলের নেতা প্রভীন ভাট্টি উত্তরপ্রদেশের খুরজানগর থানায় যে অভিযোগ করেছেন তাতে মনীশের সঙ্গে টুইটারের আরও এক কর্মী অমৃতা ত্রিপাঠিরও নাম আছে।
বিতর্ক শুরু হয় সোমবার টুইটারের ‘টুইপ লাইফ’ বিভাগে ভারতের মানচিত্রের দেখা মেলার পর। কারণ, ভারতের সেই মানচিত্রে উত্তরের জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখকে দেখা যাচ্ছিল ভারতের বাইরে একেবারে আলাদা দেশ হিসাবে। সেই মানচিত্রকে ঘিরে নেটমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। টুইটারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি ওঠে। যদিও উত্তেজনা গুরুতর রূপ নিতে শুরু করলে মানচিত্রটি রাতেই সরিয়ে নেয় টুইটার।
প্রসঙ্গত দিল্লির কৃষক আন্দোলন, টুলকিট মামলা, নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইন, ‘ম্যানুপুলেটেড মিডিয়া’ ট্যাগ সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ও আরএসএস নেতাদের ব্লু টিক সরানো এবং সদ্য গাজিয়াবাদের ঘটনার বিতর্কে কেন্দ্রের সঙ্গে বার বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে টুইটার। এর মাঝেই ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রকাশের ঘটনাকে ভালো চোখে দেখছে না সরকার। তাই টুইটারের বিরুদ্ধে কেন্দ্র শীঘ্রই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু তার আগেই এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। টুইটারের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তত্পরতা লক্ষ্য করা গেল এই নিয়ে দ্বিতীয়বার।
সূত্র অনুযায়ী, পূর্বে গাজিয়াবাদের বৃদ্ধ নিগ্রহের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক ইঙ্গিত প্রদানের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মামলা দায়ের করেছিল মণীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে। তবে কর্ণাটক হাইকোর্ট সেই মামলায় মাহেশ্বরীকে গ্রেফতারি থেকে সাময়িক সুরক্ষা দিয়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, আজ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বলে খবর।
Facebook Comments