আবারও চাঁদে নভোচারী পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন বলে জানিয়েছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
তিনি বলেছেন, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে নভোচারী পাঠাবে।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা কাজ করছে বলে জানান তিনি।
অ্যালাব্যামার হান্টসভিলের ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের সভায় বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বক্তৃতায় মাইক পেন্স সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদের উল্টো পিঠে চালানো চীনের রোবোটিক মিশনের কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ষাটের দশকের মতো আমরা এখন আবার একটা মহাকাশ কেন্দ্রীক প্রতিযোগিতায় এসেছি।
চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠানোর ব্যাপারে আগে থেকেই পরিকল্পনা রয়েছে নাসা’র। কিন্তু মি. পেন্স-এর ঘোষণার পর এর সময়সীমাকে আরও বেগবান করবে।
বক্তৃতায় মাইক পেন্স বলেন, বিশ শতকে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদে পৌঁছাতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তেমনই একুশ শতকে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম হবে।
তিনি জানান, এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর স্থায়ী অন্ধকারাচ্ছন্ন চ্যালেঞ্জিং অংশতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ যান নামবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা।
চাঁদের ওই অংশে জমাট তরলকে মহাকাশযানের জন্যে জ্বালানীতে রূপান্তর করতে চায় নাসা।
চাঁদের বুকে প্রথম পা ফেলা মানুষ নীল আর্মস্ট্রং এর কথা স্মরণ করে মি. পেন্স বলেন, এখনই সময় আবারও চাঁদ জয় করার। যেকোনো মূল্যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মার্কিন মহাকাশচারীদের চাঁদে পা রাখবেই।
মি. পেন্স আরও বলেন, চাঁদে মার্কিন নভোচারীদের স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠার পর মঙ্গলগ্রহ জয়ের মিশনে নামবে।
নাসাকে ২০২৪ সালের মধ্যেই চাঁদে যাওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সারতে হবে ইঙ্গিত দিয়ে মাইক পেন্স বলেন, যদি নাসা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হতে না পারে, তবে বাণিজ্যিক লঞ্চিং সিস্টেম বা অন্য কোনও সহযোগী সন্ধান করা হবে।
কথাটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে জবাবে মার্কিন স্পেস এজেন্সির পরিচালক জিম ব্রাইডেনস্টাইন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হল। এখন কাজে নেমে পড়তে হবে।
ছবি সৌজন্যে : নাসা
Facebook Comments