রাজ্যে বেড়েই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আক্রান্তের দিক দিয়ে রেকর্ড হয়েছে এ রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২,৯৫৪ জন মৃত ৫৬ জন। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬,৭৫৪ জনে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মোট মৃত্যু হলো ১,৯০২ জনের। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে রাজ্যে প্রথম স্থানেই রয়েছে কলকাতা, তারপর উত্তর ২৪ পরগনা। বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২৫,২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। রাজ্যে এখন পর্যন্ত কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১০,২৮,২৫১টি।
সংক্রমণ এবং মৃত্যু- দুটি ক্ষেত্রেই প্রথম থেকেই ঊর্ধ্বমুখী কলকাতা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮০ জন। রাজ্যে ৫৬ জন মৃতের মধ্যে ২৭ জনই কলকাতার। এই নিয়ে কলকাতায় মোট ৮৮৭ জনের মৃত্যু হলো।
নতুন সংক্রমণে পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনাও। বৃহস্পতিবার নতুন করে ৬০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এ দিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২৬১। মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
এদিকে দেশজুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৫৬,২৮২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। রেকর্ড ৯০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, করোনায় একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে বুধবার। এই সময়ে দেশজুড়ে করোনায় মারা গেছেন ৯০৪ জন। এ নিয়ে দেশজুড়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪০,৬৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে আরও ৫৬,২৮২ জন আক্রান্ত হওয়ায় দেশজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৯,৬৪ ,৫৩৬ জনে পৌঁছেছে।
এর মধ্যে গত ৩০ দিনেই মারা গেছেন ২০ হাজার মানুষ। দেশটিতে করোনায় মৃত্যুতে শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র প্রদেশ। এই প্রদেশে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬,৪৭৬ জন। এছাড়া রাজধানী নয়াদিল্লিকে পেছনে ফেলে মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তামিলনাড়ু প্রদেশ। দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট মৃত ৪,৪৬১ জন। তবে নয়াদিল্লিতে সেই সংখ্যা ৪,০৪৪ জন।
গত ১৪ দিনে করোনায় সুস্থতার হার ৬৩ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এখনও প্রায় ৬ লাখ করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। এছাড়া ভারতে বর্তমানে করোনায় মৃত্যুর হার ২. ০৯ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সংক্রমণের শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫৩,৫২৪ ও ৫৭,১৫২ জন। সংক্রমণের শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৮ লাখ ২৩ হাজার এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ২৮ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি।
Facebook Comments