দেশে হুহু করে কমছে নতুন সংক্রমণ। এর একটা কারণ অবশ্যই রয়েছে, সেটা হল দেওয়ালিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম হওয়া। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। কারণ, সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে সেটা বোঝার জন্য সংক্রমণের হারের দিকে নজর দিতে হবে। দেখা যাচ্ছে সেটাও হুহু করে কমছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৯০। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ১৬৩ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাটি ১২ হাজার ৭৭ কমেছে। দেশে এখন মোট রোগীর মধ্যে মাত্র ৫.১০ শতাংশের চিকিত্সা চলছে।
দেশের সব প্রান্তেই নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা কমেছে, এমনকি দিল্লিতেও। কিন্তু সব থেকে চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। গত জুলাই-আগস্টে এই রাজ্যে পর পর ১০-১২ দিন দশ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন, সেই অন্ধ্রপ্রদেশে এ বার নতুন করে আক্রান্ত হলেন মাত্র ৭৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে দিল্লিতে (৩,৭৯৭)। এর পর রয়েছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ (৩,০১২), কেরল (২,৭১০), মহারাষ্ট্র (২,৫৩৫), তামিলনাড়ু (১,৭২৫) এবং কর্নাটক (১,১৫৭)।
৮৩ লক্ষের কাছাকাছি হলেন সুস্থ
সুস্থতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ৭৯১ জন। এর ফলে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে হল ৮২ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৭০ জন। ভারতে এখন সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৩.৪২ শতাংশ। সুস্থতার হারে এই মুহূর্তে যারা শীর্ষে রয়েছে তারা হল দাদরা ও দমন দিউ (৯৮.৪%), অসম (৯৭.৮%), অন্ধ্রপ্রদেশ (৯৭%), বিহার (৯৬.৯%), ওড়িশা (৯৬.৫%), ঝাড়খণ্ড (৯৬.৩%), তামিলনাড়ু (৯৬.৩%), পুদুচেরি (৯৫.৬%), কর্নাটক (৯৫.৫%), আন্দামান (৯৫.৫%), ত্রিপুরা (৯৫.৩%), গোয়া (৯৫.১%)।
মৃত্যুহার কমছে
নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কমছে, তেমনই দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪৯ জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হল ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৫১৯ জনের। ভারতে এখন মৃত্যুহার ১.৪৭ শতাংশ।
সংক্রমণের হার আরও কমেছে
সংক্রমণের সংখ্যা কমার পাশাপাশি দৈনিক সংক্রমণের হারও কিন্তু কমছে অনেকটাই। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৮ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৮২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবার দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৪৫ শতাংশ।
ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ১২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৯০৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন মাত্র ৭.০১ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
Facebook Comments