সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, আমরা যে পদ্ধতিতে হিসেব দিতাম, তাতে একটা গলদ থেকে যাচ্ছিল। অবশেষে তা ধরা গিয়েছে। এবার থেকে কেন্দ্র-রাজ্যের তথ্যে কোনও ফাঁক থাকবে না।
মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে সোমবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ১,২৫৯। তার মধ্যে ২১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৯০৮ জন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। আর করোনা আবহে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। এর মধ্যে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। আর ৭১ জনের মৃত্যু অন্যকারণে হলেও তাঁদের দেবে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলেই জানান মুখ্যসচিব। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে বিরাট ফারাক ছিল। সেকথা স্বীকার করে নিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, ‘অনেক জায়গা থেকেই এই কথা শুনছিলাম। সেই কারণেই আমরা সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখলাম। সেখানেই এই গলদ চোখে পড়ল। সেই কারণেই গত দু’দিন ধরে তথ্য সেভাবে দেওয়া যায়নি। সব দেখে তারপর এদিন আমরা এই তথ্য দিলাম।’
মুখ্যসচিব জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৬১ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। ফলে সংক্রমণ যে খুব একটা কমে গিয়েছে, তা ভাবার কোনও কারণ নেই। সরকারের এই বিবৃতির মাধ্যমে পরিষ্কার হল, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ১৩২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬১ জনের মৃত্যুর কারণ নবান্নের মতে কোভিডই।
মুখ্যসচিব এদিন আরও জানান, প্রতি ১০ লক্ষে এ রাজ্যে পজিটিভ কেসের হার ১৩.৯৮%। প্রতি ১০ লক্ষে মৃত্যুর হার ১.৪৭%। প্রতি ১০ লক্ষে সুস্থতার হার ১৭.৩২%। এখনও পর্যন্ত মোট করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫,১১৬ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২,২০০ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
Facebook Comments