🎭জিয়া খানের মৃত্যু মামলা : প্ররোচনার অভিযোগ থেকে খালাস পাঞ্চোলি

বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালতের সিদ্ধান্ত এসেছে। শুক্রবার আদালত প্রধান অভিযুক্ত, অভিনেতা এবং জিয়া খানের প্রাক্তন প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে খালাস দিয়েছে। মা জরিনা ওয়াহাবকে নিয়ে সিবিআই আদালতে পৌঁছান সুরাজ পাঞ্চোলি। এই সময়, তাকে ঘিরে ছিল সমস্ত মিডিয়া এবং পাপারাজ্জিরা। এখন দশ বছর পর এই মামলায় স্বস্তি পেয়েছেন আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে। মুম্বাইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এএস সাঈদ সুরাজ পাঞ্চোলিকে খালাস দিয়ে বলেছেন যে প্রমাণের অভাবে এই আদালত আপনাকে (সূরজ পাঞ্চোলি) দোষী করতে পারে না। তাই আপনি খালাস। 2013 সালে, 25 বছর বয়সী জিয়া খান জুহুর একটি ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেছিলেন। গত দশ বছর ধরে মেয়ের বিচার দাবি করে আসছেন অভিনেত্রীর মা রাবিয়া খান। জিয়া খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। জিয়ার মা রাবিয়া খানেরও অভিযোগ ছিল মেয়েকে খুন করা হয়েছে। হত্যার বিষয়টিও আদালতে খারিজ করে দেয় সিবিআই। এমন পরিস্থিতিতে আদালতও স্বীকার করেছেন যে জিয়া খান আত্মহত্যা করেছেন এবং তাকে খুন করা হয়নি। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে বিচারপতি এ এস সাইয়্যেদের এই সিদ্ধান্ত। আদালতের আদেশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, সুরাজ পাঞ্চোলি জিয়া খানকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছিলেন এমন কোনো প্রমাণ নেই।

‘নিষাব্দ’ এবং ‘গজনী’-এর মতো ছবিতে নিজের বলিষ্ঠ অভিনয় প্রমাণ করা জিয়া খান ২৫ বছর বয়সে এই পৃথিবীকে বিদায় জানান। 3 জুন 2013-এ, জিয়া খান মুম্বাইতে তার জুহুর ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন। অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে একটি 6 পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে। এই বিষয়টি 10 ​​বছর ধরে আদালতে ছিল। শুক্রবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন জিয়া খানের মা রাবিয়াও। তিনি স্পষ্টতই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন। আইন অনুসারে, রাবিয়া খান এখন সিবিআই বিশেষ আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবেন। জিয়া খানের মৃত্যুর পরে, পুলিশ তার প্রাক্তন প্রেমিক এবং অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলিকেও গ্রেপ্তার করেছিল, যদিও পরে তিনি জামিন পেয়েছিলেন। সুরাচ পাঞ্চোলি বিখ্যাত অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে। সালমান খানের প্রযোজনার ছবি ‘হিরো’ দিয়ে অভিষেক হয় তার।

আদেশ আসার পর জিয়া খানের মা রাবিয়া বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলে আসছি এটা হত্যা। সিবিআই সঠিকভাবে কাজ করেনি। যে কারণে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সিবিআই যদি সততার সঙ্গে কাজ করত, তাহলে প্রমাণের অভাবে সুরজ পাঞ্চোলিকে মুক্তি দেওয়া হত না। আমি হাল ছাড়িনি এবং বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাব।

3 জুন, 2013 – জিয়া খানের মৃতদেহ মুম্বাইতে তার জুহুর বাড়িতে পাওয়া যায়। 6 পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতেই সুরজ পাঞ্চোলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 21 জুন 2013-এ, সূরজ পাঞ্চোলির জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়। এরপর অবশেষে ২০১৩ সালের ১ জুলাই জামিনে মুক্তি পান এই অভিনেতা।

জিয়া খানের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। অর্থাৎ আত্মহত্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে। জিয়ার মা রাবিয়া খান সুরাজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ করেছেন এবং গত দশ বছর ধরে তিনি আদালতে তার মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন।