নানা পাটেকর, বিকাশ বহেল, আলোক নাথ একের পর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠে আসছে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ। অনেকে যেমন অভিযোগকারিণীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তেমনই আবার কিছু তারকা এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও ইতস্তত বোধ করছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, তিনি গর্বিত যে #MeToo শেষমেষ বলিউডের কড়া নাড়ল। তিনি বলেন, ”আমার মনে হয় অনেকদিন আগেই এটা হওয়া প্রয়োজন ছিল। অনেক সময় আমার মুখ খুলতে ইচ্ছে করেছ, কিন্তু আমায় চুপ করে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা বলেছিলেন, জনগণ মনে করবে আমি প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছি। তাদের ধারণা হবে, আমি হেডলাইনে আসার জন্য ও প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টায় এসব বলছি। প্রত্যেকবার আমার চারপারশের মানুষজন চুপ করে থাকতে বলেছে আমায়”।
”আমার কেরিয়ারের প্রথমদিকে, এক সিনেমা পরিচালক তাঁর ছবির প্রধান নারী চরিত্রের জন্য অডিশন নিচ্ছিলেন। বিকিনি ও আবেদনময়ী পোজে তাঁদের ফোটোশুট করান তিনি। আর সেই ছবিগুলো সোজা চলে গেল পরিচালকের ব্যক্তিগত ল্যাপটপে। পোশাকের টেস্ট কিন্তু ওটা ছিলনা। এমনকি মার্কেটিংয়ের জন্যও ছবিগুলো ব্যবহার করা হবে না। তাহলে কেন? পরে যাঁদের ছবির জন্য বাছাই করা হয়েছিল, তাঁদের সেই ছবিগুলো দেখানোও হয়েছিল। এটা সেক্সিজম এবং অবশ্যই একটা মানসিক হেনস্থা। ক্ষমতার অপব্যবহার। আমি আশা করব, যে অভিনেত্রীর সঙ্গে এটা হয়েছিল গল্পটা বলার পর তিনি মুখ খুলবেন। বাকিটা তাঁর ইচ্ছে”, বলেছেন জানে তু ইয়া জানে না-র অভিনেতা।
বিকাশ বহলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে ইমরান জানান, পরিচালকের হেনস্থার অভিযোগ তাঁকে বিস্মিত করেনি। আমির খানের ভাগ্নে বলেন, ”প্রত্যেকে এখন বিকাশ বহলের কথা বলছেন। এই একই ঘটনা আরও তিনজন অভিনেত্রীর মুখে শুনেছি আমি। ভুলভাল জায়গায় হাত দিয়ে বলতেন আমি তোমাকে কাস্ট করলে পরিবর্তে কী পাব?। আবারও আমি আপনাকে বলছি ইন্ডাস্ট্রির অনেক এরকম অভিনেত্রীকে আমি চিনি। ৫-৬ মাস আগে এক জায়গায় গিয়েছিলাম, সেখানকার মানুষজন হলিউডের #MeToo মুভমেন্ট নিয়ে কথা বলছিলেন। কিন্তু বলিউডের কথাটা কে বলবে? বিকাশ বহলের ঘটনাটা তো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি তাঁকে প্রত্যেক তারকার সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে দেখিছি”। এখানেই না থেমে ইমরান আরও বলেন যে তিনি অনেক বড় বড় নামও বলতে পারেন। কিন্তু তাঁর কথা প্রমাণ ছাড়া কেউ বিশ্বাস করবে না।
Facebook Comments