ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেলের সামনে থাকা ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ৩৫টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহত ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ঘটনার দিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন। তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তারা কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নি নিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।
এদিকে, নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, আগুনের ঘটনা সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এ সময় ৪৬টি মরদেহের মধ্যে ৩৮টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও আটটি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢামেক হাসপাতালে ২ জন রোগী ভর্তি আছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি সবার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এ জন্য কাউকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
Facebook Comments