শ্রমিক আন্দোলনে বহিরাগত রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘অনেক শ্রমিক গণমাধ্যমে বলছে, আট হাজার টাকা পায়, এটায় তার চলে না। আমি প্রমাণ করে দিতে পারি, এই লোকগুলো কখনো শ্রমিক না। কারণ, ৮ হাজার টাকা যে শ্রমিকেরা পায়, তারা কখনো কিছু বলে না। যারা ৮ হাজার পায়, তারা একদম নতুন, তার একটা চাকরির দরকার, সে ৮ হাজার টাকায় ঢুকেছে। অতিরিক্ত সময় যোগ করে মাস শেষে ভালো একটা টাকা নিয়ে বাড়িতে যায়। অতএব এই আন্দোলন যারা করতেছে, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে করতেছে এবং আমরা জানি, কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত আছে।’
শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ৫ কোটি লোকের জীবনযাত্রা জড়িত। সে জন্য আমরা চেষ্টা করছি, বর্তমান বাজার প্রেক্ষাপটে আগামী ৫ বছরের জন্য একটি ন্যায্য মজুরি আদায় করার। আজ মালিকপক্ষ তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আমরা ভালো একটি মজুরির দিকে যাচ্ছি। আগামী সভায় শ্রমিকদের জন্য একটি ভালো মজুরি আসছে।’
সভা চলাকালীন বোর্ডের সামনে মজুরি বৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে রাসেল হাওলাদার ও ইমরান নামে দুই শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে পোশাকশ্রমিক সংগঠনগুলো। সেখানে মজুরি বৃদ্ধিতে পোশাকশ্রমিক আন্দোলনের সমন্বয়ক গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আজকে শ্রমিকদের কেউ বলছেন, মজুরি হতে হবে ২৫ হাজার টাকা, কেউ বলছেন ২৩ হাজার টাকা। কিন্তু সরকারের শ্রমিক প্রতিনিধি ২০ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণের কথা বলেছেন। তিনি মূলত সরকার ও মালিকপক্ষের স্বার্থ দেখছেন।’
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম বলেন, ‘সরকার ও বিজিএমইএ শ্রমিক আন্দোলন দমনের যে নীতি নিয়েছে, তাতে গার্মেন্টস সেক্টরে স্থিতিশীলতা আসবে না।’
Facebook Comments