মহাকাশে দেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রেরণের মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বাংলাদেশ। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বৃহস্পতিবার রাতে মহাকাশে ডানা মেলবে দেশের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ স্যাটেলাইট “বঙ্গবন্ধু-১”। এই স্যাটেলাইট মহাকাশে গেলে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসাবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
এর আগে বেশ কয়েকবার স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তারিখ পরিবর্তন হয়। এরপরও কয়েকদফা তারিখ পরিবর্তন করে অবশেষে ১০মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মহাকাশ যাত্রা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে।
মার্কিন বেসরকারি কোম্পানি স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাবেরাল উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। ফ্যালকন-৯ রকেটের উৎক্ষেপণ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষা থেকে প্রাপ্য ডাটা বিশ্লেষণের পর উৎক্ষেপেণের চূড়ান্ত তারিখ ঠিক করা হয়েছে। ফ্যালকন-৯ রকেট ৩.৫ টন ওজনের বঙ্গবন্ধু-১ যোগাযোগ স্যাটেলাইটটি মহাকাশে নিয়ে যাবে। মহাকাশে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে এটির ৮দিন সময় লাগবে।
এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে তিন ধরনের সুফল বাংলাদেশের মানুষ পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথমত, এ স্যাটেলাইটের সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও সাশ্রয়, দু’টিই করা যাবে। দ্বিতীয়ত, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। তৃতীয়ত, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই স্যাটেলাইট। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এই স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো সম্ভব।
ছবি সৌজন্যেঃ www.observerbd.com
Facebook Comments