বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মহিলা সংক্রান্ত একটা ঝামেলা বেশ ভালোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সর্বশেষ এ বিতর্কে জড়িয়েছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর খালাতো বোন সামিয়া শারমিন উষাকে বিয়ে করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর বছর দুয়েক দুইজনের সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে। দাম্পত্য কলহ চরম আকারে রূপ নেয়।
এরপর ক্রিকেটার সৈকতের বিরুদ্ধে গত ২৬ আগস্ট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষা মামলা করেন। তবে আদালত মামলাটি গ্রহণ না করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
তাদের বিষয়টি কয়েকবার পারিবারিকভাবে মীমাংসা হলেও শেষ পর্যন্ত সৈকত ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষার বিবাহ বিচ্ছেদ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকালে ময়মনসিংহ জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও স্ত্রী সামিয়া শারমিনকে নিয়ে এ সমঝতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি উভয়ের সঙ্গে দু’ধাপে বৈঠক করেন।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় সামিয়া ও তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন শারমিন শাহজাদী। এরপর বিকেল সোয়া ৩টা থেকে মোসাদ্দেকের কথা শোনেন তিনি। পরে মোসাদ্দেক লিখিত জবানবন্দি শেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে অফিস থেকে বের হন। বৈঠকে সৈকত লিখিত বক্তব্য প্রদান করলেও সামিয়া আরও সময় চাওয়ায় কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
এ বিষয়ে সামিয়া জানান, আমাকে একদিন সময় দেন। আমার ছয় ভাই আমার অভিভাবক। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি সিদ্ধান্ত জানাব। তার প্রত্যাশা মাফিক তাকে সময় দেয়া হয়েছে।
শারমিন শাহজাদী এ বিষয়ে জানান, সৈকত লিখিত বক্তব্য দিলেও সামিয়া আরও সময় চেয়েছেন।তিনি আরও জানান, সৈকত লিখিত বক্তব্যে সামিয়ার উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন।
সৈকত তার লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, দেশের বাইরে খেলার পূর্ব মুহূর্তে সামিয়া নানাভাবে কটুক্তি করে সমস্যার সৃষ্টি করতো। এতে তার স্বাভাবিক খেলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ নিয়ে মতবিরোধের কারণে সামিয়া প্রায়ই ডিভোর্স চেয়েছে।
তিনি আরও জানান, আইন অনুযায়ী সকল পাওনা ও ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে চান।
Facebook Comments