“ফুলও কা তারকা সবকা ক্যাহেনা হে, এক হাজারো মে মেরি ব্যাহেনা হ্যায়” শুধু কি ভাইরাই গায়? না বোনরাও অপেক্ষা করে এই দিনটার জন্য। ভাই আর বোন সসুধু নয় রাখি তো সেই মানুষদের জন্য যারা সবসময় সব বিপদে পাশে থাকে। সকালে দাদা, ভাইকে রাখি পরিয়েছেন তো? বোন আর দিদি কি আজ আপনার জন্য অপেক্ষা করেছিল? আচ্ছা একবার ঢুঁ মেরে আসবেন নাকি তারকা ভাই বোনেদের অন্দরমহলে? আজ সারাদিন কি করলেন? আগে কি ভাবে কাটত আজকের দিনটা?”
আদিত্য চৌধুরী– টিভির পর্দায় আদিত্য কে সবাই চেনেন। আজ এই আদিত্য অপেক্ষা করে আছে তার দিদিভাই এর জন্য। বললেন, “যখন ছোট ছিলাম অনেক দিদি, বোনকে আজকের দিনে পেতাম। খুব আনন্দ হত। এখন তো অনেকের বিয়েই হয়ে গেছে। তাই সবার থেকে রাখি আর পড়া হয় না। এখন আমার হাতেও সময় আর আগের মত নেই। কিন্তু চেষ্টা করি দিদিভাই এর থেকে রাখি পড়ার। কিন্তু দিদিভাইও থাকে মধ্যমগ্রাম। আজ কলটাইম যদি না বদলায় তাহলে দিদিভাই এর কাছে যাব। আগে সব ভাই বোনেরা একসঙ্গে হওয়াটাই অনেক বড় ঘটনা।”
রাহুল ব্যানার্জী- ফেসবুকে তার নাম রাহুল অরুনোদয় বানারজি। রাহুল এর জীবনে এই রাখি অন্য সব বছরের দিনের থেকে আলাদা। বললেন “নীলাঞ্জনা দি আমায় নিজের বানানো রাখি পড়িয়ে দিয়েছে। খুশি তো হবোই।” আরও বললেন, “রাখির দিন আগে ভয় পেতাম। কি জানি কে আজ রাখি পড়াবে এই ভেবে।” এইভাবেই তার কাছে রাখির দিন এসেছে।
তানিয়া গাঙ্গুলি- বাংলা টেলিভিশনের তানিয়া। কারও কাছে মিষ্টি তো কারও কাছে বাজে। এই তানিয়া নিজের জীবনে আজকের দিন টা কি করলেন। “আমার দাদা আছে। দাদাকেই রাখি পড়াই। এক ভাইও আছে। ভাইও অপেক্ষা করে।” রাখি পড়িয়ে আবার শুটিং ফ্লোরে। তানিয়া আরও বললেন, ” দাদা সবসময়য় আমার কথা মাকে জানিয়ে দেয়। তাই নিয়ম মেনেই চলতে থাকে ঝগরা। প্রতিদিনের মতই কালো ঝগরা হয়েছে। রাখি বলে আজকের দিনটা আমরা ছাড় দিয়েছি। আবার কাল থেকেই শুরু হবে প্রতিদিনের স্ক্রিপ্ট।”
লাবনী ভট্টাচার্য- শালিনী শর্মা। রিল লাইফে দেখেছি ময়ঙ্খ শর্মার এই বোনকে। রিয়েল লাইফে কি করছেন আজ সে? ” আজ সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত। না শুটিং এ নয়। ভাই এর জন্য বিশেষ কিছু রান্না করতে। আজকের দিনে জতই কাজ থাক নিজের হাতে ভাইকে না খাওয়ালে মন বসবে না কোন কাজে।” তিনি আরও জানান ” ছোটবেলায় আমি মামা বাড়িতেই আজকের দিনটায় বেশি কাটাতাম। ভাই, মামা, মাসি সকলে মিলে। লাইন দিয়ে পরপর দাঁড়িয়ে থাকত ভাইয়েরা। আর পরপর বোনেরা রাখি পড়াত। আমার একটাই ভাই। মামা অনেক বেশি। মা, মকাসি দের দেখতাম বেশি জঙ্কে রাখি পড়াচ্ছে আর আমি একজন তাও আবার ভাই। মা, মাসিরা তাদের দাদাদের রাখি পরাবার জন্য চকোলেট পেত। আর আমায় কিনা দিতে হত। এই কষ্ট যে কত দিন পেয়েছি। এখন বড় হয়েছি। আমার আরও দুই ভাইকে রাখি পড়াই। কিন্তু এঈ প্রথম বার আমিও গিফট পেলাম। সার্থক হয়ে গেল আমার এইবারের রাখিটা।”
সায়ন্তনী গুহাঠাকুরতা- টেলিভিশনে সায়ন্তনি দুষ্টু মিষ্টি। এই সায়ন্তনী আজকের দিনটা কাটায় ভাই এর জন্য। তার কাজের জন্য হয়ত আজকের গোটা দিনটা একসঙ্গে কাটাতে পারে না। কিন্তু চেষ্টা করে ভাইকে আগে রাখিটা পড়িয়ে দিতে। বললেন,” ভাই সকালে বেরিয়ে গেছে অফিস। যদিও তাড়াতাড়ি ফিরছে।” আজকের দিনটা এইভাবেই কাটে তার। ” আগে আজকের দিনটা অন্য রকম লাগত। নিজের হাতে রাখি বানাতাম। তারপর রাখি পড়ানো। এখন আর সময় হয় না। তাছাড়া স্টাইলও বদলেছে। আগে বড়বড় রাখি হত। সেই গুলোই ভালবাসত সবাই। এখন ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড এর মত রাখি পরতে বেশি ভালবাসে সবাই। ”
কৌশিক, রজত- একনামে চেনেন সব তারকা। এই তারকার আজকের দিনটা অন্য দিনের মতই। বাড়ির একছেলে হওয়ার জন্য রাখিকে আলাদা করে পাননি তিনি। বললেন, ” আগে রাখিতে আলাদা করে কিছু হত না। তবে এখন আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সঙ্গে কাজের সুত্রে বহু উইশ পাই। দেখে ভালও লাগে। এই ভাবেই কেটে যায় আমার এই দিনটা।
“হোয়াটস নিউ লাইফ”র পক্ষ থেকে সকলকে “হ্যাপি রাখি”।
Facebook Comments